কলকাতা, ২২ মার্চ: বীরভূমের রামপুরহাট কাণ্ড (Rampurhat Violence) নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) মন্তব্যে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রাজ্যপালের মন্তব্য রামপুরহাট কাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তে বাধা পড়তে পারে বলে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে জানালেন। রাজ্যপাল এই নিয়ে বলেন, রামপুরহাটে যা হল, তা অনভিপ্রেত। এই ধরণের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়। রামপুরহাটে যে ধরণের হিংসা হয়েছে, তাতে তিনি বিচলিত বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ভিডিয়ো শেয়ার করে, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ধনখড়। যা নিয়ে মমতা চিঠিতে ধনখড়কে বলেন, "আপনি যে ধরনের মন্তব্য করছেন তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আপনার মন্তব্য নিরপেক্ষ তদন্তে বাধা পড়তে পারে। সাংবিধানিক পদে থেকে এই জাতীয় মতব্য দুর্ভাগ্যজনক ও অসাংবিধানিক। ধনখড়ের বিবৃতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও মমতা চিঠিতে লেখেন।
রামপুরহাটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যুর পরপরই বগটুই গ্রামের ৭-৮টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। যার জেরে ১০ (ডিজি কথায় ৮) জনের দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, সেই সময় রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আরও পড়ুন: West Bengal: তৃণমূল নেতা খুন, উত্তপ্ত রামপুরহাটের বগটুই থেকে উদ্ধার ১০ জনের দগ্ধ দেহ
রাজ্যপালের ট্যুইটের পর পালটা মুখ খোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্যপাল বিজেপি নেতার মতো আচরণ করছেন। রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল যে ট্যুইট করেছেন, তা রাজনৈতিক উদ্দোশ্যপ্রণোদিত। শুধু তাই নয়, একটি দুঃখজনক ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল রাজনীতি করছেন বলেও অভিযোগ করেন কুণাল।
বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে অব্যাহত রাজনৈতিক চাপানউতোর। বগটুইয়ে তৃণমূল উপপ্রধান খুনের পর সেখানকার ৭-৮টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ১০ জনের ঝলসে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার রামপুরহাট নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, রামপুরহাটের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করা হবে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি রামপুরহাটের ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান সুকান্ত মজুমদার। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ঘটনায় জবাবদিহি করতে হবে বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রামপুরহাটের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলেও দাবি করা হয় বিজেপির তরফে।