মমতা ব্যানার্জি (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি: বিশিষ্ট অভিনেতা ও প্রাক্তন সাংসদ তাপস পালের (Tapas Pal) প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার ভোরে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন তাপস পাল। বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর রোগে ভুগছিলেন এই অভিনেতা। কথা বলা ও চলা-ফেরায় সমস্যা ছিল। ১ ফেব্রুয়ারি বান্দ্রার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়। গতকাল রাতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তাপস পাল। রাত ৩টে ৩৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি।

শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখছেন, "তাপস পালের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ ভোরে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র দাদার কীর্তি, সাহেব, ভালোবাসা ভালোবাসা, অনুরাগের ছোঁয়া, অমর বন্ধন ইত্যাদি। তিনি হিন্দি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। তাপস পাল ২০১৪ সালে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হন।" শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১২ সালে তাঁকে বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে। এছাড়া তিনি ফিল্ম ফেয়ার ও কলাকার পুরস্কার পান। তাঁর প্রয়াণে অভিনয় ও রাজনৈতিক জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি প্রয়াত তাপস পালের আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।" পরে টুইটে তিনি লেখেন, "তাপস পলের মৃত্যুর কথা শুনে দুঃখিত ও হতবাক। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের একজন সুপারস্টার ছিলেন। তৃণমূল পরিবারের সদস্য ছিলেন। সাংসদ এবং বিধায়ক হিসাবে জনগণের সেবা করেছিলেন। আমরা তাঁকে খুব মিস করব। তাঁর স্ত্রী নন্দিনী, কন্যা সোহিনী এবং তাঁর অনেক ভক্তের প্রতি আমার সমবেদনা।" আরও পড়ুন: Tapas Pal Passed Away: নেতা নয় বাঙালির মননে অভিনেতাই, ভালো থেকো সাহেব

১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্ম তাপস পালের। তাপস পাল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে হুগলি মহসিন কলেজ থেকে জীববিজ্ঞানে গ্রাজুয়েট হন। কলেজে পড়াকালীন নজরে পড়েন পরিচালক তরুণ মজুমদারের। ২২ বছর বয়সে মুক্তি পায় প্রথম ছবি ‘দাদার কীর্তি’। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাপস পালকে। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সাহেব’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘পারাবত প্রিয়া’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’। ‘সাহেব’ ছবির জন্য পান ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার। বাংলার পাশাপাশি তাপস পাল অভিনয় করেছেন কয়েকটি হিন্দি ছবিতেও। মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে অভিনয় করেন ‘অবোধ’ ছবিতে। পরে রাজনীতিতে আসেন তাপস পাল।