তপন, ২২ এপ্রিল: “দিল্লির দুই গুন্ডার হাতে বাংলা যাবে না।” নাম না করেই তপনের জনসভা থেকে মোদি-শাহকে আক্রমণ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। তপনের প্রাণ তপন দিঘি, সেই দিঘি নতুন করে সংস্কার করছি। ইতিমধ্যে ৩৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। মোট খরচ পড়বে ৩৭ কোটি টাকা। তপন দিঘিতে মাছ চাষ হবে। মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পর্যটনকেন্দ্র হবে। তপন দিঘিকে কেন্দ্র করে অনেক কর্মসংস্থান হবে। তপনে চলছে গভীর নলকূপ বসানোর কাজ। তপনে জলের সমস্যা মেটাতে কাজ চলছে। নদীর জল পরিশ্রুত করে পানীয়জল তৈরির কাজ চলছে। আবার কোভিড শুরু হয়েছে। আরও পড়ুন-Sadhan Pande Feeling Unwell: শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে
কোভিড ভ্যাকসিনের দামের প্রকারভেদ নিয়েও মোদিকে তুলোধনা করেন দিদি। “দিল্লি ছ’মাস আগে থেকে যদি টিকা দিয়ে দিত তাহলে এখন এখানে করোনা হত না। নরেন্দ্র মোদিকে বলেছিলাম ভ্যাকসিন দাও আমি পয়সা দিয়ে কিনে নেব। রাজ্যের মানুষকে ভ্যাকসিন দেব। নরেন্দ্র মোদি দিল না। এখন যখন বেড়ে গেছে জনগণের উপরে দোষ চাপিয়ে বলছে, তুমি নিজে জোগাড় করে নাও। কোথা থেকে জোগাড় করবে। তুমি তো সব ভ্যাকসিন বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছো। এখন দেশে আর ভ্যাকসিন নেই। ৫ মে ১৮ বছরের থেকে সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেব। বিজেপি ভোটের সময় বলবে ওয়ান নেশন ওয়ান পলিটিশিয়ান। আর ভ্যাকসিনের সময় বলবে, ওয়ান নেশন মেনি প্রাইস। ওয়ান ভ্যাকসিন ওয়ান প্রাইস হবে। ভ্যাকসিন সবার জন্য। জরুরি জিনিস। ভ্যাকসিন তো বিনা পয়সায় দেওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় সরকারের কী টাকা কম আছে? সব ব্যাংকের টাকা গচ্ছিত আছে। পিএম কেয়ারের টাকা গেল কোথায়? ওই টাকায় সবার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে যেত।”
দেশের কোভিড পরিস্থিতির দায় মোদির উপরেই চাপালেন মমতা। বললেন, “আমরা কোনও মানুষের নাম ভোটারলিস্ট থেকে বাদ দিতে দেব না। কোনও জিনিসের জন্য আমাদের আন্তরিকতার অভাব হবে না। ২০০ সেফ হাউস ও ১০০ হাসপাতাল কোভিডের জন্য নিয়েছি। তুমি কোভিডের ভ্যাকসিন লুকিয়ে রেখেছিল। এই কোভিড নরেন্দ্র মোদির অবদান, তাই আজকে মানুষ মারা যাচ্ছে। ওদের ভোট দেওয়া মানে দাঙ্গা বাড়ানো।”