শুভেন্দু ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(File Photo)

নন্দীগ্রাম, ২৯ মার্চ: ১ এপ্রিল রাজ্যের দ্বিতীয় দফা ভোট হতে চলেছে। রাজ্যের হাইভোল্টেজ ভোটকেন্দ্র নন্দীগ্রাম রয়েছে এই তালিকায়। নির্বাচন উপলক্ষে এবার ভোটের ময়দানে মুখোমুখি হতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুজনেই সোমবার ভোটের প্রচারে থাকবেন নন্দীগ্রামে। রোড শো থেকে জনসভা কিছুই বাদ পড়বে না। সোমবার নন্দীগ্রামে তিনটি জনসভা রয়েছে মমতার। দুপুর দেড়টায় ঠাকুরচকে। দুপুর ২টোয় বয়াল ২ নম্বর পঞ্চায়েতে এবং বিকেল সাড়ে তিনটের সময় আমদাবাদ হাইস্কুলের মাঠে। তবে এই তিন জনসভার আগে তিনি একটি রোড শো করবেন। নন্দীগ্রামের ক্ষুদিরাম মোড় থেকে বেলা ১১টার সময় মমতা প্রায় ৮ কিলোমিটার রোড শো করে পৌঁছাবেন ঠাকুরচকে।

এদিন নন্দীগ্রামে শুভেন্দু পাঁচটি পথসভা করবেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বয়াল ১ নম্বর পঞ্চায়েতে পথসভা করবেন তিনি। এর পর বেলা ১২টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পথসভা বয়াল ২ নম্বর পঞ্চায়েতে। বিকেল ৩টে থেকে ৪টে পর্যন্ত ভেটুরিয়ায়, ৪টে থেকে ৫টা পর্যন্ত জয়কালীতে। দিনের সর্বশেষ পথসভাটি শুভেন্দু করবেন ৫টা থেকে ৬টা— ঘোলপুকুরে। আগামী ১ তারিখ বৃহস্পতিবার রাজ্যে ৩০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। মমতা শুভেন্দুর নন্দীগ্রামও রয়েছে তার মধ্যে। রবিবার দোলের দিনে প্রচার মঞ্চ থেকে বার বার নাম না করে শুভেন্দুকে বিঁধেছেন তৃণমূলনেত্রী। সোমবারও যে অধিকারীরাই তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য থাকবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এখন দেখার আজ প্রচারের ময়দানে নেমে শুভেন্দু মাননীয়ার কটাক্ষের জবাব কীভাবে দেন। আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: দলে মীরজাফর বিভীষণ দুইই আছে, দলীয় কর্মীকে থাপ্পড় মেরে কী বললেন বাবুল?

গত ১০ মার্চ বুধবার হলদিয়ার মহাশাসকের দপ্তরে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন বিকলে বিরুলিয়া বাজারে পায়ে চোট পান তিনি। তড়িঘড়ি গ্রিন করিডর করে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএমে এনে ভর্তি করানো হয়। এই ঘটনায় বিজেপির উপরে হামলার অভিযোগ আনেন মমতা। যদিও সোমবার সেই ক্ষতে প্রলেপ লাগাতে গিয়ে দিদি বলেন, ‘‘আমি বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কারণ সারা দিনই প্রায় সব মন্দিরে মন্দিরে গেছি। কথা বলেছি। আমার কোনও অসুবিধা হয়নি। এখানেও যে অসুবিধা হয়েছে তা নয়। কেউ প্ল্যান করে করেছে। কিন্তু বিরুলিয়ার মানুষের কোনও দোষ নেই এতে। নন্দীগ্রামের মানুষের কোনও দোষ নেই। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না।’’