২০১২ সালে উল্টোডাঙা উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পরেই শিয়ালদহ উড়ালপুলের রক্ষণাবেক্ষণ এবং তা তদারকির ব্যাপারে মাথা চাড়া দিয়েছিল প্রশাসন। কলকাতা পুরসভা না কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি কে করবে সংস্কারের কাজ তাই নিয়ে শুরু হয়েছিল চাপান-উতোর। তারপর ১৩ বছর কেটে গেলেও দীর্ঘদিন ওই উড়ালপুলের () পর্যাপ্ত রক্ষনাবেক্ষণ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে গিয়েছে। তবে সম্প্রতি রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে আশার আলো দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর পুজোর পরে শুরু হবে শিয়ালদা উড়ালপুল সংস্কারের কাজ। উল্লেখ্য আশির দশকের প্রথম দিকে সেতুর দেখভালের দায়িত্বে পায় কেএমডিএ (KMDA). এবারও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন তাঁরাই। সোমবার সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, আগে এই উড়ালপুল দিয়ে নিয়মিত ট্রাম চলত। সেই চাপ বহণ করেছে সেতুটি। বেশ ক’বছর হল এই রুটে ট্রাম চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও ইস্পাতের সেই লাইন থেকে গিয়েছে। অনেকদিন ধরেই সেতুটির বড় মাপের মেরামতির কথা হচ্ছে। কিন্তু সেতুর নিচে থাকা হকারদের প্রতিবাদ প্রতিরোধে বারবার থমকে গেছে সেতুর কাজ।উড়ালপুলের নিচে প্রায় ৪০০ হকারের দোকান, উৎসবের মরশুমে তাঁরা জায়গা ছাড়তে রাজি নন। ঠিক হয়েছে, পুরসভা পর্যায়ক্রমে ৬০-৭০ জন করে হকারকে অস্থায়ীভাবে নিকটবর্তী এক জায়গায় ব্যবসার ছাউনি করে দেওয়া হবে।হকার সংগ্রাম কমিটির শক্তিমান ঘোষ জানিয়েছেন “এখনও এ ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। উৎসবের মরশুমের পর একটা সমাধানসূত্র বার করা হবে।”
সূত্রের খবর, পাঁচ দফায় হবে এই সংস্কারের কাজ। উড়ালপুলের স্থায়ীত্ব ও বহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টায় বিম, কলম এবং স্ল্যাবে কার্বন ফাইবার রিইনফোর্সড পলিমারের প্রলেপ দেওয়া হবে। পিলারগুলোকে ইস্পাতের জ্যাক দিয়ে শক্ত করা হবে।