(Photo Credits: Pexels)

কলকাতা, ২০ জুলাই: এই প্রথম মেধা তালিকা ছাড়া মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ৷ সকাল ১০টা থেকে ওয়েবসাইটে ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিকের ফলাফল জানতে পারবেন৷ এদিকে করোনাকালে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ না হওয়ায় কেউই অ্যাডমিট কার্ড হাতে পাননি৷ তাই রোল নম্বর অনুযায়ী ওয়েবসাইটে ফল জানার কোনও সুযোগ নেই৷ এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও নিজেদের জন্ম তারিখ দিয়ে ওয়েবসাইটে মাধ্যমিকের ফল জানতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা৷ একই সঙ্গে এদিন সকাল দশটা থেকে মাধ্যমিকের মার্কশিটও হাতে পেতে পারেন পড়ুয়ারা৷ সেজন্য মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ৪৯টি বিতরণ কেন্দ্র খুলেছে৷ সেখান থেকেই মার্কশিট সংগ্রহ করতে হবে৷ www.wbbse.wb.gov.in, wbresults.nic.in, www.exametic.com এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল জানা যাবে৷

এ বছর ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৯পরীক্ষার্থীর মাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল। তবে অতিমারীর কারণে পড়ুয়াদের সুস্থতাকে গুরুত্ব দিয়ে বোর্ড পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়৷ প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক পাশ করেছেন ৯০ শতাংশ পড়ুয়া৷ ২০১৯ সালে পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণিতে প্রাপ্ত নম্বর এবং ২০২০ সালে ইন্টারনাল ফরম্যাটিং ইভ্যালুয়েশনের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের মূল্যায়ণ করা হয়েছে। এই আগের প্রাপ্ত নম্বরে যারা এগিয়ে তাঁরা এক্ষেত্রেও বেশি নম্বর পেয়েছেন৷ এ বছর সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭। তবে এই নম্বর পেয়েছেন ৭৯ জন পরীক্ষার্থী। এঁরা প্রত্যেকেই প্রথম স্থানাধিকারী কি না তানিয়ে মুখ খোলেননি পর্ষদ সভাপতি৷ তবে ১০০ শতাংশ পরীক্ষার্থীই পাশ করেছেন৷ যদি পর্ষদের দেওয়া নম্বর নিয়ে সংশয় থেকে থাকে তাহলে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ থাকবে ছাত্র-ছাত্রীদের। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার প্রকাশিত নম্বর আর বিবেচিত হবে না। চূড়ান্ত ফল হিসেবে ওই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরকেই ধরা হবে। আরও পড়ুন-Blast In Iraq: বাগদাদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত ২৮, আহত ৬৬

চলতি বছরে ৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৪৯ জন ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। অন্যদিকে ছাত্র পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৫০৷ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার সাংবাদিক সম্মেলনে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “পর্ষদের ৪৯টি ক্যাম্প অফিস থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকেই স্কুল প্রতিনিধিদের হাতে অ্যাডমিট কার্ড ও মার্কশিট তুলে দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা এদিনই  স্কুল থেকে মার্কশিট সংগ্রহ করতে পারবেন৷ এ বছর একটি ব্যতিক্রমী বছর, সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। ”