Star TMC Candidates of 7th Phase. (Photo Credits: ANI)

কলকাতা, ২৮ মে: দীর্ঘ লোকসভা ভোট এবার লাস্ট ল্যাপে। গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল প্রথম দফার ভোট। উত্তর বঙ্গের তিন জেলা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্র দিয়ে শুরু হয়েছিল ভোট পর্ব। এরপর পাহাড় সহ উত্তরবঙ্গের সব জেলা শেষে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, দুই বর্ধমান হয় ভোট। ২০ মে থেকে ভোট ঢুকে পড়ে হাওড়া, হুগলিতে। ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ শেষ হয় দুই মেদিনীপুর, জঙ্গলমহল, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায়।

আগমী শনিবার রাজ্যে সপ্তম দফায় কলকাতা, শহরতলি, দুই ২৪ পরগণা মিলিয়ে ৯টি লোকসভা আসনে ভোট। তাহলেই রাজ্যের ৪২টি আসনেই ভোটগ্রহণ শেষ হবে। শেষ দফার ভোটগ্রহণকে একেবারে দিদি গড় বলা চলে। গত তিনটি লোকসভায় এই ৯টি লোকসভা আসনেই অনায়াসে জিতে আসছে তৃণমূল। আরও পড়ুন-'সত্য সহ্য করতে পারে না তৃণমূল কংগ্রেস', বারাসত থেকে আক্রমণ মোদীর

সিপিএমের আমলেও এখানে জয় এসেছে, আবার মোদী ঝড়, মোদী সুনামির মাঝেও এই ৯ কেন্দ্রে তৃণমূল হাসাতে হাসতে জিতেছে। এবার দিদি গড়ে দাঁত ফোটাতে আদাজল খেয়ে নেমেছে বিজেপি, বামেরা। প্রধানমন্ত্রী সহ হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, নেতা সহ চমকপ্রদ প্রচার করে তৃণমূলের ঘাঁটিতে পদ্ম ফোটাতে মরিয়া বিজেপি। সিপিএমও তাদের সীমিত সাধ্য নিয়ে অন্তত ২-৩টি আসনে দারুণ লড়াই করছে।

দেখে নেওয়া যাক শেষ দফায় রাজ্যে যে ৯টি লোকসভা আসনে হবে ভোটগ্রহণ--

কলকাতা উত্তর:

সুদীপের সবুজ দুর্গে গেরুয়া গড় গড়তে পারবেন তাপস?

কলকাতা উত্তর লোকসভা আসন হল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের গড়। ২০০২৪ লোকসভায় দিদি টিকিট না দেওয়ায় উত্তর কলকাতায় (তখন কেন্দ্রের নাম ছিল কলকাতা উত্তর-পশ্চিম) মোমবাতি চিহ্ন নিয়ে লড়ে সুদীপ ৯১ হাজার ভোট পেয়ে তৃণমূলের হারের সবচেয়ে বড় কারণ হয়েছিলেন। জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল উত্তর কলকাতা লোকসভা মাত্র একবারই হারে, কারণ সেখানে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-কে প্রার্থী করেনি দল। এবারও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশ সুদীপকে টিকিট না দেওয়ার দাবিতে বিদ্রোহ করেছিলেন। কিন্তু দিদি সেটা না শোনায় বরানগরের অভিজ্ঞ বিধায়ক তাপস রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। উত্তর কলকাতায় এবার দুই ফুলের সরাসরি লড়াইয়ের মাঝে সুদীপ বনাম তাপসের ব্যক্তি ক্যারিশ্মা-র দ্বৈরথ। কংগ্রেসের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী প্রদীপ ঘোষ বামেদের সমর্থনে নিজের মত লড়ছেন।

মূল প্রতিপক্ষরা

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল) বনাম তাপস রায় (বিজেপি) ও প্রদীপ ঘোষ (কংগ্রেস)।।

গত লোকসভায় ফল

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল) তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি-র রাহুল সিনহাকে হারান ১ লক্ষ ২৭ হাজার ভোটে। বাম প্রার্থী পেয়েছিলেন ৭১ হাজার ভোট। সুদীপের ভোট প্রাপ্তির হার বেড়েছিল প্রায় ১৪ শতাংশ।

জয়-পরাজয়ে ফ্যাক্টার

এই লোকসভার সাতটি বিধানসভাই তৃণমূলের দখলে। তবে বিজেপিতে গিয়ে প্রার্থী হওয়া তাপস রায়ের পিছনে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের একটা অংশ রয়েছে। আবার মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তৃণমূল থেকে এসে তাপস রায় একেবারে প্রার্থী হয়ে যাওয়ায় বিজেপি-তেও বিক্ষুব্ধ তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে অবাঙালি ভোট এবার গত দুটি লোকসভার মত বিজেপি-তে যাবে না। আবার কাশীপুর-বেলগাছিয়া, চৌরঙ্গী ও এন্টালি থেকে সুদীপের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাবেন তাপস। তৃণমূল অঙ্কের হিসেবে এগিয়ে থাকলেও সুদীপ বিরোধী ভোট এক জায়গায় পড়লে জোর লড়াই হতে পারে।

গত তিনটি লোকসভায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের ব্যবধান-

২০১৯- নিকটতম বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা-র বিরুদ্ধে জয়ী ১ লক্ষ ২৭ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৪৯.৯৬%)

২০১৪-নিকটতম বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা-র বিরুদ্ধে জয়ী ৯৬ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৩৫.৯৪%)

২০১৯-নিকটতম সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে জয়ী ১ লক্ষ ৯ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৫২.৫০%)

-----------------

কলকাতা দক্ষিণ:

মালাবদলের ডাকে সাড়া মিলবে?

মালা রায় (তৃণমূল) বনাম সায়রা শাহ হালিম (সিপিএম) ও দেবশ্রী চৌধুরী (বিজেপি)

বিরোধীরা স্লোগান তুলছে, দক্ষিণ কলকাতায় এবার মালা বদল হবে। মানে টানা দু বার জেতা হবে না তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়ের। জন্মলগ্ন থেকে দক্ষিণ কলকাতায় কখনও হারেনি তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়। বিজেপি এবার তেমনভাবে লড়াইয়ে নেই। তবে প্রচারে ঝড় তুলছেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। যদিও প্রচারের শেষবেলায় বিজেপি-র দেবশ্রী চৌধুরী নজরকাড়ার চেষ্টা করেছেন।

গত লোকসভায় ফল: মালা রায় (তৃণমূল) জেতেন ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি-র চন্দ্র কুমার বোসের বিরুদ্ধে। সিপিএমের প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায় সেখানে পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৪০ হাজার ভোট।

-----

যাদবপুর

বুদ্ধর জমিতে দিদির দুর্গে পদ্মের ছোঁয়া লাগবে?

মূল প্রতিপক্ষরা: সায়নী ঘোষ (তৃণমূল) বনাম সৃজন ভট্টাচার্য (সিপিএম) ও অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায় (বিজেপি)

এক সময়ের বাম গড়। এবার ত্রিমুখি লড়াই। তৃণমূল বনাম সিপিএমের মধ্যে মূল লড়াই হতে পারে। তবে বিজেপি-র সংগঠন ভোটপ্রচারের শেষদিকে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। তৃণমূল এগিয়ে সংগঠনে, ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিতে এগিয়ে সৃজন।

গত লোকসভায় ফল: মালা রায় (তৃণমূল) জেতেন ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি-র চন্দ্র কুমার বোসের বিরুদ্ধে। সিপিএমের প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায় সেখানে পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৪০ হাজার ভোট।

যাদবপুরে গত তিনটি লোকসভায় তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান-

২০১৯- তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী জয়ী ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ভোটে (প্রাপ্ত ভোট: ৪৭.৯১%)। নিকটতম প্রার্থী : অনুপম হাজরা (বিজেপি)

২০১৪-তৃণমূলের সুগত বসু জয়ী ১ লক্ষ ২৫ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৪৫.৮৩%)। নিকটতম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী (সিপিএম)

২০০৯-তৃণমূলের কবীর সুমন জয়ী ৫৬ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৪৯.৮৪%)। নিকটতম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী (সিপিএম)

----

দমদম:

বারবার চারবার করতে পারবেন সৌগত?

মূল প্রতিপক্ষরা: সৌগত রায় (তৃণমূল) বনাম শীলভদ্র দত্ত (বিজেপি) ও সুজন চক্রবর্তী (সিপিএম)

টানা চারবার সাংসদ হওয়ার লক্ষ্যে সৌগত রায়। এবার তৃণমূলের জনপ্রিয় অধ্যাপক সৌগত-র সামনে বিজেপি-র আইনজীবী প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত ও সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী। যাদবপুর ছেড়ে দমদমে এসে কতটা ভোট সুজন পান সেটাই দেখার। এক সময় ব্যারাকপুরে তৃণমূলের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২১ বিধানসভায় খড়দহ থেকে দাঁড়িয়ে হারেন। এবার শীলভদ্রের হয়ে জোর প্রচার করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। গতবার সৌগত রায়কে বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দমদমে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান ৫৩ হাজারে নামিয়ে আনতে পেরেছিলেন বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্য। তেমন কিছু করতে পারবেন কি শীলভদ্র?

গত তিনটি লোকসভায় সৌগত রায়ের জয়ের ব্যবধান-

২০১৯- নিকটতম বিজেপি প্রার্থী শমিক ভট্টাচার্য-র বিরুদ্ধে জয়ী ৫৩ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৪২.৫১%)

২০১৪-নিকটতম বাম প্রার্থী অসীম দাশগুপ্তর বিরুদ্ধে জয়ী ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৪২.৬৭%)

২০০৯-নিকটতম বাম প্রার্থী অমিতাভ নন্দীর বিরুদ্ধে জয়ী ২০ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৪৭.০৪%)

----------------

ডায়মন্ড হারবার:

ডায়মন্ড হারবার আবার অভিষেক-হারবার নাকি অভিষেককে হারাবার ডাক জনতা শুনবে?

মূল প্রতিপক্ষরা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল) বনাম অভিজিৎ দাস ( ববি) (বিজেপি) ও প্রতিক-উর রহমান (সিপিএম)

২০০৯ থেকেই ডায়মন্ড হারবারে সবুজ আবীর ওড়ে। ২০১৪ থেকে এই লোকসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমবার প্রার্থী হয়েই জয় পেয়েছিলেন। পাঁচ বছর বাদে মোদী সুনামির উল্টো স্রোতে ঝাঁপ দিয়ে অভিষেক অনেকটা ভোট বাড়িয়ে বড় ব্যবধানে জেতেন। এবার সবার শেষে অভিষেকের কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। প্রচারেও ভাল সাড়া ফেলেছেন অভিষেক।

ডায়মন্ড হারবারে গত তিনটি লোকসভায় তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান-

২০১৯- তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী ৩ লক্ষ ২০ হাজার ভোটে (প্রাপ্ত ভোট: ৫৬.১৫%)। নিকটতম প্রার্থী: নীলাঞ্জন রায় (বিজেপি)

২০১৪-তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী ৭১ হাজার ২৯৪ ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৪০.৩১%)। নিকটতম প্রার্থী আব্দুল হাসনাত (সিপিএম)

২০০৯-তৃণমূলের সোমেন মিত্র জয়ী ১ লক্ষ ৫২ ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৫৩.৫৬%)। নিকটতম প্রার্থী শমিক লাহিড়ি (সিপিএম)

--------------

বারাসত:

 কাকলিকে হারানোর স্বপ্ন না বাস্তব?

মূল প্রতিপক্ষরা: কাকলি ঘোষ দস্তিদার (তৃণমূল) বনাম স্বপন মজুমদার (বিজেপি)

গতবার হ্যাটট্রিক করেছিলেন, বারাসতে এবার টানা চারবার জয়ের লক্ষ্যে নেমেছেন তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এবার কালি সামনে বিজেপি-র বিধায়ক প্রার্থী স্বপন মজুমদার।

বারসতে গত তিনটি লোকসভায় কাকলির জয়ের ব্যবধান-

২০১৯- নিকটতম বিজেপি প্রার্থী মৃণাল দেবনাথের বিরুদ্ধে জয়ী ১ লক্ষ ১০ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৪৬.৪৭%)

২০১৪-নিকটতম বাম প্রার্থী মোর্তাজা হোসেনের বিরুদ্ধে জয়ী ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৪১.৩৯%

২০০৯-নিকটতম বাম প্রার্থী সুদীন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জয়ী ১ লক্ষ ২৩ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৫০.৯৬%)

-------------

বসিরহাট:

মূল প্রতিপক্ষরা:  হাজি নুরুল ইসলাম (তৃণমূল) বনাম রেখা পাত্র (বিজেপি) ও নিরাপদ সর্দার (বাম)

বিরোধীরা রেখাপাত করতে পারবেন?

টলিউড অভিনেত্রী নুসরত জাহান-কে সরিয়ে হাজি নুরুল ইসলাম-কে বসিরহাটে প্রার্থী করেছে দল। ২০০৯ থেকে এই লোকসভা তৃণমূলের দখলে। ২০০৯ লোকসভা ভোটে এখানে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। পাঁচ বছর বাদে তাঁর বদলে ইদ্রিশ আলি-কে টিকিট দিয়ে জেতে তৃণমূল। তারপর ২০১৯ লোকসভায় নুসরত জাহান-কে প্রার্থী করে অনায়াসে জেতে তৃণমূল। গড়ে ধরে রাখার লড়াই তৃণমূলের।

বসিরহাটে গত তিনটি লোকসভায় তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান-

২০১৯- তৃণমূলের নুসরত জাহান জয়ী সাড়ে ৩ লক্ষের বেশী ভোটে (প্রাপ্ত ভোট: ৫৪.৫৬%)। নিকটতম প্রার্থী সায়ন্তন বসু (বিজেপি)

২০১৪-তৃণমূলের ইদ্রিশ আলি জয়ী ১ লক্ষ ১০ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৩৮.৬৫%)। নিকটতম প্রার্থী নুরুল শেখ (সিপিআই)

২০০৯-তৃণমূলের হাজি নুরুল ইসলাম জয়ী ৬০ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৪৫.৯২%)। নিকটতম প্রার্থী অজয় চক্রবর্তী (সিপিআই)

-------------------

মথুরাপুর:

তৃণমূল গড়ে বিজেপি কিছু করতে পারবে?

মূল প্রতিপক্ষরা:  বাপি হালদার (তৃণমূল) বনাম অশোক পুরকাইত (বিজেপি) ও শরত চন্দ্র হালদার (সিপিএম)

টানা চারবার জোড়়া ফুলের জয় রুখতে পারবে বিরোধীরা?

---------------

জয়নগর:

আবার ফুটবে কি দিদির জয়ের ফুল?

মূল প্রতিপক্ষরা: প্রতিমা মণ্ডল (তৃণমূল) বনাম অশোক কাণ্ডারি (বিজেপি)