কুণাল ঘোষ (Photo Credits: ANI/File)

কলকাতা, ২৪ ফেব্রুয়ারি: শিয়রে ২১-র বিধানসভা নির্বাচন (2021 West Bengal Assembly Election)। রাজ্যজুড়ে জোরকদমে চলছে নির্বাচনী প্রচার। তৃণমূল (TMC) এবং বিজেপি (BJP), নির্বাচনকে মাথায় রেখে দু'জনেই একে অপরকে টেক্কা দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত। গত মঙ্গলবার ক্যানিংয়ে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) নেতৃত্বে তৃণমূলের পদযাত্রা এবং জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই জনসভা থেকে ফেরার পথে বারুইপুরে রাস্তার ধারের একটি রেস্তরাঁয় চা-ব্রেক নিতে গাড়ি থেকে নেমেছিলেন কুণাল ঘোষ। সেখানে কিছুক্ষণ পরেই এসে হাজির হন প্রতিপক্ষ দলের দুই নেতা- শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) এবং বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। আরও পড়ুন: Manoj Tiwary Joins TMC: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় তৃণমূলে যোগ দিলেন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি

 শুভেন্দু অধিকারী এবং বাবুল সুপ্রিয়, দু'জনেই প্রতিপক্ষ দলের নেতা। রাজনৈতিক মতবিভেদ থাকলেও মানবিকতার খাতিরেই বারুইপুরের রেস্তরাঁয় চলে কুশল বিনিময়। আর এতেই শুরু হয় বিতর্ক। ২১-র নির্বাচনের প্রাক্কালে আবারও কী শাসক শিবিরে ভাঙন ধরতে চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে? প্রায় ৪৫ মিনিট একসঙ্গে ওই হোটেলে দেখা যায় কুণাল ঘোষ এবং বাবুল সুপ্রিয় ও শুভেন্দু অধিকারীকে। সমস্ত জল্পনা-কল্পনা-গুঞ্জনে জল ঢেলে দিয়ে কুণাল ঘোষ ফেসবুক পোস্ট করেন। কুণাল ঘোষ লেখেন, "এত জল্পনা, এত ফোন। দু একটি কথা। মঙ্গলবার ক্যানিংয়ে তৃণমূলের পদযাত্রা এবং জনসভা করে ফিরছিলাম। বারুইপুরের কাছাকাছি পথের ধারের একটি রেস্তোরায় সহকর্মীদের নিয়ে দাঁড়াই। টি ব্রেক। শুনলাম একটু আগেই ওখান থেকে গেছেন বিশিষ্ট এক তৃণমূল নেতা। এর কিছুক্ষণ পর অন্য একটি জায়গায় সভা সেরে ফেরার পথে ওই রেস্তোরায় ঢোকেন বিজেপির দুই নেতা। পুরনো পরিচিত। আলাদা দলে থাকলেও এইসব ক্ষেত্রে সৌজন্য ছাড়া নিশ্চয়ই প্রকাশ্য ঝগড়া হতে পারে না। দেখা হয়েছে। সৌজন্যের কথা হয়েছে।"
এখানেই শেষ নয়। কুণাল ঘোষ আরও লেখেন, "এর মধ্যে কোনো পরিকল্পিত বৈঠকের গল্প বা রাজনৈতিক তাৎপর্য নেই। তাঁরা বিজেপি। আমি তৃণমূল। কারুর গোপন বৈঠক করার থাকলে সে নিশ্চয় দলীয় সভা থেকে ফেরার সময় সর্বসমক্ষে প্রকাশ্য রেস্তোরায় সেটা করবে না! ফলে যাঁরা এ নিয়ে প্রবল চিন্তিত, তাঁরা আপাতত ঘুমিয়ে পড়তে পারেন।"