কলকাতা, ১৮ মার্চ: গোমূত্র (cow urine) পান করে করোনাভাইরাস থেকে দূরে থাকতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি। এই খবর নতুন নয়, বেশকিছু দিন ধরেই চলছে। এমনকী, গোমূত্র বিক্রিও হচ্ছে। লোকজন তা কিনে নিয়েও যাচ্ছে। বিজেপি সদস্যদের গোমুত্র পার্টি চলছে যেখানে সেখানে। এবার এক কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবলকে না বলেই গোমূত্র পান করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতায়। অভিযোগের তির বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। সোমবার এক হাতে পিতলের ঘটি অন্য হাতে গোমূত্রের বোতল হাতে প্রচার চালান তিনি। ধরে ধরে সকলকে গোমূত্র পান করিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। সেই সময়ই পুলিশ কনস্টেবলকে না জানিয়ে গোমূত্র পান করিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে নারায়ণবাবুকে সমর্থন করে বিরোধীদের ফের খোঁচা দিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কাউকে ঘাড় ধরে খাওয়ানো হচছে না। যার বিশ্বাস আছে খাবে। বহু ওষুধ যুগযুগ ধরে চলে আসছে। এটাও এক ধরণের ওষুধ। আমাদের মোরারজি দেশাই তো নিজের মূত্র খেতেন। যাঁরা জানে না কিছু, অর্বাচীন আছে, তাঁরা নতুন জিনিস শুনলে হজম করতে একটু দেরি হয়। যাঁদের কোনও জ্ঞান নেই। তাঁরাই বিজ্ঞানের ঠেকা নিয়েছে। তাঁদের কথা সমাজে কেউ গুরুত্বও দেয় না। ফলে গোমূত্রে কী আছে তা নিয়ে তাঁদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভাঙার দরকার নেই। পশ্চিমবঙ্গে সবাই কখনও না কখনও গোমূত্র খেয়েছে। আমাদের পুজোপাঠ হয়, পঞ্চমৃত হয়, সেখানে প্রসাদে সেটা দিতেই হয়। সবাই না জেনে কখনও না কখনও খেয়েছেই। এখন নাক সিঁটকাচ্ছে। কিছু লোকের এরকম অভ্যাস আছে, করে এক বলে এক। আর কেউ কাউকে জোর করে গোমূত্র খাওয়াবে না। খাওয়ানোর অধিকারও কারও নেই। এসব নাটকবাজি। বিজেপির বিরোধিতা করার জন্য করা হচ্ছে। সবাই গোমূত্র খায়। পরিস্থিতি এলে আবার খাবে।” আরও পড়ুন- Coronavirus Positive in Kolkata: কলকাতায় করোনায় আক্রান্ত ১, বেলেঘাটা আইডিতে চিকিৎসারত
এদিকে কনস্টেবলের অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরেই জোড়াবাগান থানার পুলিশ নারায়ণবাবুর বাড়িতে যায়। সন্ধ্যায় তাঁকে লালাবাজারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গ্রেপ্তার হন তিনি।