কলকাতা, ২৬জুন: ফের কৃত্তিকার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে গিয়েও শেষপর্যন্ত নিরাপত্তা রক্ষীদের বদান্যতায় তা এড়ানো গেল। স্কুলের শৌচাগারে আত্মহত্যার (Sucidal attempt)পরিকল্পনা করেও সফল হল না আর এক মেধাবী ছাত্রী। কেন সে নিজেকে মারতে চেয়েছিল, জানলে অবাক হবেন। বাড়িতে কেউ তার কেয়াল রাখে না, কারোর সময়ই নেই। ভালবাসা তো অনেক দূরের বিষয়, তাই নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল সে। বলা বাহুল্য, মর্মান্তিক ঘটনা রুখে দিয়ে ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের সাবধান করল স্কুল কর্তৃপক্ষ (Kolkata School)। আরও পড়ুন-Kolkata: দিনে দুপুরে শহরের অভিজাত এলাকায় ৪ জনকে অপহরণ, ২০০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি
জানা গিয়েছে, ক্লাসে টেনের ওই ছাত্রী ব্লেড নিয়ে স্কুলের শৌচালয়ে পৌঁছেও গিয়েছিল। এমনকি বাঁ হাতে ক্ষতও করে ফেলেছিল সে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় ওই ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দাবি, বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রেও কৃত্তিকার মতো কারও প্রতি মনের ভিতরে জমে থাকা ক্ষোভ এবং অবহেলার কারণেই ওই ছাত্রী এমনটা ঘটানোর চেষ্টা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ক্লাস শেষ হওয়ার পর দুপুর ৩টে নাগাদ শৌচাগারে যায় ওই ছাত্রী। শৌচালয়ের বাইরে বসানো ছিল সিসি ক্যামেরা। স্কুলের কর্মীরা ক্যামেরার সেই ছবির উপর নজর রাখছিলেন। ৫-৬ মিনিট হয়ে গেলেও সে শৌচাগার থেকে না বেরোনোয় অশিক্ষক কর্মীরা বাইরে থেকে ডাকাডাকি শুরু করেন। সাড়া না মেলায় শেষ পর্যন্ত দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় তাকে।হাতে গভীর ক্ষত না হওয়ায় স্কুলেই প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় তার। শিক্ষিকারা তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, সে এ রকম করল? জবাবে সে বলে, “সবাই কাজে ব্যস্ত। আমাকে কেউ ভালবাসে না। আমার জন্য কারও সময় নেই।” এমনিতে স্কুলে বেশ হাসিখুশিই থাকে ওই ছাত্রী। এমনটাই জানাচ্ছেন তার শিক্ষিকারা। সে যে অবসাদে ভুগছে, তেমন কোনও আঁচ পায়নি স্কুলের কেউই। গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকমহলে, সবাই নিজেদের সন্তানদের দিকে অতিরিক্ত নজর রাখতে শুরু করেছেন।