কলকাতা বইমেলা (Photo Credits: Wikimedia Commons)

কলকাতা, ২৮ জানুয়ারি: কথা ছিল আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে শুরু হবে এই বছরের কলকাতা বইমেলা (Kolkata Book Fair)। কিন্তু তা না হয়ে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই এই বছরের মত শুরু হয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা (Kolkata International Book Fair)। এদিন সন্ধে ছ'টায়তেই কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। আজ থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত বছরের মত এই বছরেও সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের (Central Park) ময়দানেই আয়োজিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন চলবে মেলা (Fair)।

২৯ জানুয়ারি থেকে এ বছরের বইমেলা শুরু হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তা একদিন এগিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে মেলা। ১৯৭৬ সাল থেকে কলকাতায় আয়োজিত হচ্ছে বইমেলা। সেই সময় কলকাতার ময়দান-এ আয়োজিত হত বইমেলা। কিন্তু তখনও কলকাতা বইমেলার ভাগ্যে জোটেনি আন্তর্জাতিক তকমা (International Tag)। তারপরে মিলন মেলা প্রাঙ্গনে (Milan Mela Prangan) সেই মেলার স্থান পরিবর্তিত হয়। আর এখন বইমেলা আয়োজিত হচ্ছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার বইমেলা পেয়েছে আন্তর্জাতিক তকমা। তার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে ঐতিহ্য। এবারে কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি রাশিয়া (Theme Country Russia)। গতকাল সোমবার সন্ধ্যাতেই মেলার সুরক্ষা ব্যবস্থা দেখে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র কুমার (DG of West Bengal Police Birendra Kumar), এডিজি ট্রাফিক বিবেক সহায় (Vivek Swahay) এবং নটরাজন রমেশবাবু। হাজির ছিলেন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং (Gyan Banta Singh) ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনাও (Laxmi narayan Mina)। বইমেলার দিনগুলিতে গত বছরের মত এ বছরেও হাওড়া (Howrah), শিয়ালদহ (Sealdah), করুণাময়ী (Karunamoyee) থেকে চলবে অতিরিক্ত বাস। পাশাপাশি জেলা থেকেও রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত বাস (Bus Service)। আরও পড়ুন: Kolkata: কেরালা, পাঞ্জাবের পর পশ্চিমবঙ্গ, আজ বিধানসভায় সিএএ বিরোধী রেজোলিউশন

মেলায় রাশিয়া, ইউরোপ (Europe), লাতিন আমেরিকা (Latin America) ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে বিশিষ্ট লেখকরা (Writer) এবার আসছেন বইমেলায় (Book Fair)। আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড নামে সংস্থাটি। এই সময়ের খবর অনুযায়ী,  তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, এ বারের বইমেলায় সুরক্ষার বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।