কলকাতা, ১৫ জানুয়ারি: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (J.P. Nadda) পশ্চিমবঙ্গে ১৯ জানুয়ারির কর্মসূচিতে কাটছাঁট করা হয়েছে আর ঠিক হয়েছে, রাজ্যের দু'টি আলাদা জেলায় দু'টি জনসভার বদলে তিনি উপস্থিত থাকবেন মাত্র একটি জনসভায়। রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, প্রথমে ঠিক হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতায় আসবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি, দু'টি জনসভায় ভাষণ দেবেন, প্রথমটি হুগলি জেলার আরামবাগে এবং দ্বিতীয়টি নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে। তথাপি, পরিবর্তিত সূচিতে ঠিক হয়েছে, রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর জাতীয় সভাপতি কৃষ্ণনগরে একটি জনসভায় যোগ দেবেন,এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির এক সদস্য।আরামবাগের বদলে কৃষ্ণনগরকে বেছে নেওয়ার কারণ সম্পর্কে দলীয় সূত্রের বক্তব্য, নদিয়া জেলার এই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি যেমন রয়েছে, তেমনই নিবেদিত ভোটব্যাঙ্কও তুলনামূলক ভাবে শক্তিশালী। Dharmendra Pradhan: মাটিতে বসে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান
১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী এবং বিশিষ্ট কর্পোরেট আইনজীবী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় (Satyabrata Mookherjee) তৎকালীন সিপিআই (এম) প্রার্থী দিলীপ চক্রবর্তীকে (Dilip Chakraborty) পরাজিত করে কৃষ্ণনগর থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর (Atal Behari Vajpayee) নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়।২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) কাছে হেরে যান বিজেপির কল্যাণ চুবে(Kalyan Chuubey), ওই লোকসভার অধীনে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে যথাক্রমে, তেহট্ট, কৃষ্ণনগর (উত্তর) ও কৃষ্ণনগর (দক্ষিণ) গেরুয়া প্রার্থী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাই স্বভাবতই দলের জাতীয় সভাপতির সভার জন্য আরামবাগের চেয়ে অগ্রাধিকার পায় কৃষ্ণনগর। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা নাড্ডার।