স্বাস্থ্য ভবনের সামনে একদিকে যেমন ধরনা কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তখন অন্যদিকে তাঁদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হচ্ছে এমন দাবি করে চাঞ্চল্যকর এই অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে আনলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা । শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে যাওয়ার আগে ধরনা মঞ্চে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেদের প্রতিনিধি দল নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছিলেন। আর সেই আলোচনার কথোপকথনের একটি অডিয়ো ক্লিপ সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন কুণাল। যেখানে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে কয়েকজন চাইছিলেন কোনওভাবে যেন এই বৈঠক করে রফাসূত্র বের করে যেন আন্দোলন তুলে নেওয়া হোক এবং কয়েকজন এই আন্দোলনকে জিইয়ে রাখতে চাইছিলেন।

এই অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করে কুণাল দাবি করেছেন, "মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার আগে ধরনামঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের অংশ। এর থেকে স্পষ্ট, একাংশ জটিলতার মানসিকতা নিয়েই গিয়েছিল। এই অডিও কারুর টেলিফোন কথন নয়। এটি ওঁদের মঞ্চে নিজেদের বৈঠকের আলোচনা"। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের সামনে হাত জোড় করে বৈঠকে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু ওরা সেটা চায়নি। এই অডিয়ো ক্লিপের মাধ্যমে একটা জিনিস পরিস্কার যে ওদের মধ্যেই একটি দল এই সমস্যা সমাধান করতে আগ্রহী নন"।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার আচমকাই ধরনা মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা বসার আহ্বান জানান জুনিয়র চিকিৎসকদের। পরবর্তীকালে মেইল মারফত তাঁদের কালীঘাটে আসার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে তাঁদেরকে ১৫ জনের প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও পরে ডাক্তাররা জানান যে তাঁরা ৩০ জনকেই নিয়ে যাবেন। সময়মতো সেখানে পৌঁছালেও চিকিৎসকরা জানতে পারেন তাঁদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবিই মেনে নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে তাঁরা বৈঠকে বসতে নারাজ ছিলেন। দুই পক্ষ তিন ঘন্টারও বেশি সময় অপেক্ষার পর ফের ভেস্তে যায় বৈঠক। কালীঘাট থেকে খালি হাতে ফিরে আসেন জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল।