শুভেন্দু অধিকারী (Photo Credits: ocial Media)

কেশপুর, ২১ জানুয়ারি: তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবার সরাসরি বামেদের শরণাপন্ন সদ্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেশপুরের জনসভায় দাঁড়িয়ে অধিকারীর বাড়ির মেজো ছেলে বললেন, “এখানে অনেকেই আছেন, যারা সিপিএম করেন। তাঁরা করুন তাঁদের দল। কিন্তু বিধানসভায় ভোট দিন বিজেপিকে। তাহলেই ন্যায় পাবেন, পঞ্চায়েতে ভোট হবে। বিধানসভা ভোটের পর কংগ্রেস-সিপিএম করুন। এখন বিজেপি করতে হবে। আমরাই পারব তৃণমূলকে সরাতে।” দিন কয়েক আগেও বাম কংগ্রেসের সংর্থকদের কাছে একই অনুরোধ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ তো আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে বামের প্রশংসাই করে বসলেন তিনি। তবে তাতে গলতে নারাজ সিপিএম নেতৃত্ব। দুই দলের নেতারা শুভেন্দুকে সুবিধাবাদী, স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিবাজ বলে কটাক্ষ করেছেন।

এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, “তৃণমূল প্রাইভেট কোম্পানি শিল্পকে শেষ করে দিয়েছে বাংলায়। বাইপাসের ধারে আইটিসি সোনার বাংলা, জেডব্লিউ ম্যারিয়ট এসব নাকি শিল্প! সেই সব জমিও বামেদের দেওয়া। নিউটাউনের সব জমি বামেরা বিলি করেছে। এখন তোলাবাজরা সব বেচে খাচ্ছে।” যতই শুভেন্দুবাবু বিজেপিকে জেতাতে বাম কংগ্রেসকে তোষামোদ করুন না কেন রাজ্যে কংগ্রেস ও বামনেতৃত্ব তাতে ভুলছেন না। এনিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, “কংগ্রেস আগাগোড়াই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছে। তাই বাম-কংগ্রেস জোটের সমর্থকরা কোনও পরিস্থিতিতেই সাম্প্রদায়িক বিজেপির হাত ধরতে পারেন না। এমন অনুরোধ তাই নিতান্তই হাস্যকর।” প্রায় একই সুরে বললেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, “বাস্তবে উল্টোটাই হতে যাচ্ছে, বুঝতে পারছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তৃণমূলকরণ হচ্ছে দেখে বিজেপির হতাশ কর্মী-সমর্থকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে হটাতে বাম-কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকছেন।” আরও পড়ুন-Amit Shah Pays Tribute: রাসবিহারী বসুর প্রয়াণ দিবসে বাংলায় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে টুইট অমিত শাহর

দলবদলের পর থেকেই তৃণমূলনেত্রী ও ভাইপো অভিষেককে বেঁধা প্রাত্যহিক কাজ হয়ে গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। কেশপুরেও তার ব্যাতিক্রম হল না। কয়েকদিন আগে শুভেন্দুর নাম না করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন পচা ধচা। এদিন তরই জবাব দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যে আশা নিয়ে পরিবর্তন এনেছিলেন, তা কি পূর্ণ হয়েছে? তৃণমূলনেত্রী বলছেন, পচা জিনিস দল থেকে বেরিয়ে গেছে। পচা জিনিস বেরিয়ে গেলে পায়ে এত কাঁটা ফুটছে কেন?”