রাজ্যসরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর,  খুব শিগগির সুপারিশ করবে ষষ্ঠ বেতন কমিশন
মমতা ব্যানার্জি। ফাইল ছবি ( Photo credit-PTI)

কলকাতা, ১৩জুন:  ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা রাজ্য, সেই সময়ই টনক নড়ল সরকারের। সমূহ ক্ষতি রুখতে বেতন কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee), অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra), স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Banerjee) প্রমুখ। এদিন নবান্নে প্রায় একঘণ্টা চলা বৈঠকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতনবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়। এরপরেই ইতিবাচক খবরের আশ্বাস মেলে, জানা যায় এনিয়ে খুব শিগগির ষষ্ঠ বেতন কমিশন সুপারিশ পেশ করতে চলেছে।  আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী কেন এনআরএসে আসছেন না? তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে আন্দোলন প্রত্যাহারে নারাজ জুনিয়র ডাক্তাররা

উল্লেখ্য, ভোটের আগেই ষষ্ঠ বেতন কমিশনের (6th Pay Commission)   সুপারিশ আটকে যাওয়ার আঁচ পেয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। লোকসভা ভোটে এককথায় তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। একটি লোকসভা আসন ছাড়া বাকি সবকটিতেই হেরেছে শাসকদল। তখন কর্মচারীরা বেশ বুঝে ছিলেন মাস ছয়েকের জন্যা ঠান্ডাঘরে চলে গিয়েছে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট। এরমধ্যে গত সোমবার আচমকাই এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ষষ্ঠ বেতন কমিশন নিয়ে তখনই জানাতে পারব, যখন কমিশন রিপোর্ট পেশ করবে। কমিশন এখনও সময় চেয়েছে তাই সরকারের কিছু করার নেই। তাছাড়া রিপোর্ট পেশ করলেই বিরাট অঙ্কের বেতন বাড়ছে না কর্মীদের। কেন না আর্থিক সংকট, চালু জনকল্যাণকর প্রকল্প বন্ধ করা সম্ভব নয়। এরপরই বিভিন্ন মহল থেকে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে শুরু করে।

প্রাথামিক শিক্ষকদের সংগঠন, গোটা শিক্ষক কর্মচারী মহল এনিয়ে ক্রমাগত উষ্মা প্রকাশ করতে থাকলে প্রমাদ গোনে রাজ্য সরকার। এরপরই এদিন জরুরি ভিত্তিতে নবান্নে বৈঠকের আয়োজন হয়। সেখানেই চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার (Chairman Abhirup Sarkar)  জানান, খুব শিগগির ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ পেশ করতে চলেছেন।

২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর, অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচ বার কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পরে শেষবার সাত মাসের জন্য কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে যার সময় শেষ হচ্ছে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। এনিয়ে অভিরূপ সরকারের বক্তব্য, প্রথম তিন বার সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিল কমিশন। কিন্তু শেষ দু’বার সরকারই কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে।