কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি: প্রয়াত অভিনেতা ও প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ (Trinamool Congress MP) তাপস পাল (Tapas Pal)। মঙ্গলবার ভোররাতে মুম্বইয়ের (Mumbai) একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর রোগে ভুগছিলেন এই অভিনেতা। কথা বলা ও চলা-ফেরায় সমস্যা ছিল। ১ ফেব্রুয়ারি বান্দ্রার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়। গতকাল রাতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তাপস পাল। রাত ৩টে ৩৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।
১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্ম তাপস পালের। তাপস পাল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে হুগলি মহসিন কলেজ থেকে জীববিজ্ঞানে গ্রাজুয়েট হন। কলেজে পড়াকালীন নজরে পড়েন পরিচালক তরুণ মজুমদারের। ২২ বছর বয়সে মুক্তি পায় প্রথম ছবি ‘দাদার কীর্তি’। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাপস পালকে। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সাহেব’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘পারাবত প্রিয়া’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’। ‘সাহেব’ ছবির জন্য পান ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার। বাংলার পাশাপাশি তাপস পাল অভিনয় করেছেন কয়েকটি হিন্দি ছবিতেও। মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে অভিনয় করেন ‘অবোধ’ ছবিতে। পরে রাজনীতিতে আসেন তাপস পাল। আরও পড়ুন: Madhyamik 2020: এবার মাধ্যমিকে রেকর্ড! পুরুষ পরীক্ষার্থীর তুলনায় প্রায় ১লক্ষ ৩৬ হাজার বেশি মহিলা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা
২০০৯ সালে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ হন। নাম জড়ায় চিটফান্ডকাণ্ডেও। ২০১৪ সালে একটি নির্বাচনী প্রচার সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তাপস পাল বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই সভায় তিনি নিজেকে "চন্দননগরের মাল" বলে পরিচয় দেন এবং জানান যে তিনি পকেটে "মাল" নিয়ে ঘুরে বেড়ান। এছাড়া তিনি ছেলে পাঠিয়ে বিরোধী পক্ষের সমর্থকদের বাড়িতে ছেলে পাঠিয়ে মহিলাদের ধর্ষণ করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে এই নিয়ে বিতর্ক হলে তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। ২০১৬-র ডিসেম্বরে রোজভ্যালিকাণ্ডে তাপস পালকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে মামলায় তিনি জামিন পান।