ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Photo Credits: facebook)

কলকাতা, ৯ মার্চ: স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের (departmental investigation) নির্দেশ দিল দমকল। অগ্নিকাণ্ডের পরেও ওই ভবনে কীকরে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল ছিল তানিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগুন এমনভাবে ছড়িয়েছিল যে ভবন থেকে বেরিয়ে আসতে যে ইমার্জেন্সি এগজিট রয়েছে সে পর্যন্তও পৌঁছাতে পারেননি রেলের কর্মী ও আধিকারিকরা। আগুন লাগার পরেও লিফট কেন চালু রইল এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়েও দমকল কর্মীরা কীকরে লিফট ব্যবহার করলেন তানিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কী দমকল কর্মীদের প্রশিক্ষণে গলদ রয়ে গেছে? নাকি নির্দেশ কোনও খামতি ছিল? এসব জানতেই হবে বিভাগীয় তদন্ত। এদিকে হেয়ারস্ট্রিট থানায় কর্মরত এএসআই অমিত ভাওয়ালের মৃত্যুতে রেলের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আরও পড়ুন-PM Modi Over Strand Road Fire: রেল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারের প্রতি টুইটে সমবেদনা প্রধানমন্ত্রীর, আর্থিক সাহায্য ঘোষণা

অগ্নিকাণ্ডের সময় দুটি লিফট চালু ছিল। তাতেই আটকে পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। লিফটের দরজা খুলতেই ঝলসে মৃত্যু হয় তাঁদের। এদিকে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর দাবি, বিপদের সময় কাজ করেনি অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র। এমনকী অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত ছিল না বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী রেলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করলেও, তা খারিজ করে দিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী। তবে এই বিল্ডিংয়ের ম্যাপ দিতে না পারার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রেলের ওই কর্তা।

অগ্নিকাণ্ডে মৃতরা হলেন রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার পার্থপ্রতিম মন্ডল, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী সঞ্জয় সাহানি, ৪ দমকল কর্মী গিরিশ দে, গৌরব বেজ, অনিরুদ্ধ জানা, বিমান পুরকায়েত, হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই অমিত ভাওয়াল। এক রেল কর্মী-সহ ২ জনকে এখনও সনাক্ত করা যায়নি। সোমবার সন্ধ্যা ছটা বেজে ১০ মিনিটে প্রথম এই ভবনের ১৩ তলায় আগুন দেখতে পান পাশের এলআইসি বিল্ডিংয়ের ক্যান্টিন কর্মীরা। তাঁরা আগুন দেখে চিৎকার করে উঠেছিলেন। পূর্বরেলের অফিসের ১৩ তলায় এসি ফেটেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।