আগরতলা, ২৩ নভেম্বর: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে (Biplab Dev) কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণের অভিযোগের বিরুদ্ধে ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হলো ত্রিপুরায়। সোহেল রানা নামে এক বিজেপি নেতা অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, গত ২০ নভেম্বর ত্রিপুরায় নির্বাচনী জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন ফিরহাদ। মানহানিকর শব্দ ব্যবহার করেছেন কলকাতার মুখ্য পুরপ্রশাসক। তার মধ্যে রয়েছে, তুইতোকারি করা, কুয়োর ব্যাঙ বলা, জুমলাবাজ, দালাল-এর মতো অশ্রাব্য শব্দ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী বিজেপি নেতার দাবি, ফিরহাদ জনসভা থেকে বলেন, তুই এখানে আমায় মারলে ওখানে পাঁচ মিনিটে পাঁচটা মারব। মন্ত্রীর এমন শব্দ ব্যবহারে রাজ্যের শান্তি নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি বিজেপি নেতার। আরও পড়ুন: ভোটের আগে টিকিটের চেষ্টা, ত্রিপুরা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ
প্রসঙ্গত, খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে জামিন দিয়েছে আদালত। সায়নীকে জামিন দিয়েছে আগরতলা আদালত। ত্রিপুরা পুলিশ (Tripura Police) সায়নীকে দু দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছিল। কিন্তু ত্রিপুরা পুলিশের সেই আবেদনে সাড়া দেয় নি আগরতলা আদালত। জামিন পাওয়ার পর আদালত থেকে বের হয়ে সায়নী বলেন, ''এভাবে আমায় দমানো যাবে না। আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন।"
রবিবার ত্রিপুরা (Tripura)-য় খুনের চেষ্টা ও অশান্তি বাঁধানোর মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেত্রী-অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)-কে। সায়নীর গ্রেফতারি নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায়।
এই ইস্যুতে সংসদের সামনে ধর্ণাতেও বসেন তৃণমূল সাংসদরা। এর মাঝে আজ আগরতলা আদালতে তোলা হয়েছিল সায়নীকে। তৃণমূল প্রতিনিধি দল ফেরত যাওয়ার পরই আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য থানা থেকে বের করা হয় সায়নী ঘোষকে। গাড়িতে ওঠার সময় কোনও কথা বলতে রাজি ছিলেন তিনি। আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় রাখা হয়েছে সায়নী ঘোষকে। তার সঙ্গে সোমবার দেখা করতে যান ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, অর্পিতা ঘোষ এবং সুস্মিতা দেব। তৃণমূল নেতাদের থানায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।