শাঁওলি মিত্র (Photo Credits: Facebook)

কলকাতা, ১৭ জানুয়ারি: প্রয়াত বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র(Shaoli Mitra)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। রবিবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। শেষযাত্রা যেন তাঁর শোভাযাত্রা না হয়। এমনটাই ইচ্ছে ছিল শাঁওলি মিত্রের। তাই সিরিটি শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পরে এই নাট্যব্যক্তিত্বের প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আনা হয়। বাবা শম্ভু মিত্রের মতোই তিনি চাইতেন, তাঁর নশ্বর দেহ যেন ফুলের ভারে স্তূপ না হয়।অযথা আড়ম্বরে ভারী আপত্তি ছিল। তাই মানস পুত্র সায়ক চক্রবর্তী ও মানস কন্যা নাট্যকার তথা রাজনীতিবিদ অর্পিতা ঘোষের উপস্থিতিতে শাঁওলি মিত্রের দাহ কাজ সম্পন্ন হয়। এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা মনে করেছেন তিনি।শোক বার্তায় জানিয়েছেন, “আমি রেলমন্ত্রী থাকার সময় তিনি আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করেছিলেন। পরে আমরা দায়িত্বে এলে কিছুদিন পর তিনি বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি হন এবং দায়িত্বের সঙ্গে মূল্যবান কাজ করেন। বাংলার সরকার তাঁকে ২০১২ সালে বঙ্গবিভূষণ ও ২০১৪ সালে দীনবন্ধু পুরস্কার দেয়।”

শাঁওলি মিত্রের অভিনয় কাজ প্রশংসার দাবি রাখে। পরিচালক হৃত্বিক ঘটকের “যুক্তি তক্ক আর গল্প” ছবিতে বঙ্গবালার চরিত্রে তাঁকে দেখা গেছে। “নাথবতী অনাথবৎ”, “কথা অমৃত সমান”, “বিতত বীতংস”, “ডাকঘর”, “পুতুলখেলা”, “একটি রাজনৈতিক হত্যা”র মতো একাধিক কালজয়ী নাটকে। অভিনয় সুবাদেই তিনি ২০০৯-এ পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত। এ ছাড়াও সম্মানিত হয়েছেন সঙ্গীত-নাটক অকাদেমি (২০০৩) এবং বঙ্গ-বিভূষণ (২০১২) সম্মানে। ২০১১-য় রবীন্দ্র সার্ধ্বশত জন্মবর্ষ উদযাপন কমিটির চেয়ারপার্সন ছিলেন তিনি।