চলতি মাসের শুরুতে ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগে রাজ্যের চার জন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে সাসপেন্ড করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন৷ কিন্তু সেই নির্দেশ উড়িয়ে রাজ্য সরকারের তরফে শুধু মাত্র ভোটের কাজ থেকে তাঁদের সরানো হয়। এই ঘটনার পরেই দিল্লিতে নির্বাচন সদনে রাজ্যের মুখ্য সচিব কে তলব করে নির্বাচন কমিশন। নির্দিষ্ট সময় বিকেল পাঁচটার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে হাজিরা দেন মুখ্যসচিব। সূত্রের খবর দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে । কর্তারা জানিয়েছেন কমিশনের নির্দেশ মতো অভিযুক্ত চার জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে৷ উল্লেখ্য ওই চার আধিকারিককে শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ কার্যকর করার জন্য রাজ্য সরকার এক সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছে।
আজ দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ আরো দুই নির্বাচন কমিশনার অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের মুখোমুখি হতে হয় মনোজ পন্থকে। কেন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা হয়নি তা জানতে চায় ফুল বেঞ্চ।মুখ্যসচিব যুক্তি দেন, ‘যদি সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এ ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে আগামী দিনে তাঁরা কাজ করতে ভয় পাবেন।’ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার মুখ্যসচিবকে বলেন, ‘আজ যদি কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে আগামী দিনে এটা অন্যান্য রাজ্যে ও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এটা আমরা কোনদিন হতে দিতে পারি না। রাজ্যের যুক্তি মানলেও কমিশনের নির্দেশ যে মানতেই হবে, এদিন খোদ জাতীয় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার মুখ্যসচিবকে তা স্পষ্ট করে দেন বলেই সূত্রের খবর৷ এরপর প্রাথমিকভাবে মুখ্য সচিব সময় চেয়ে নেন বলে জানা গেছে ।
কমিশনের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিবকে জানানো হয়, রাজ্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সেটা নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কোনও বক্তব্য নেই। রাজ্য যা তদন্ত করছে সেটা রাজ্য রাজ্যের মতো করুক। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে, সেই ব্যবস্থা রাজ্যকে নিতেই হবে৷ পাশাপাশি রাজ্য যে কমিশনের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করেছে, সেই কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট চেয়ে ফের কমিশন রাজ্যকে চিঠি দেবে বলেও মুখ্যসচিবকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কমিশনের চরমবার্তার পর রাজ্য সরকার এ বার অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে কি না, সেটাই দেখার৷