কলকাতা, ১৪ জুলাই: রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। এবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতেও (East-West Metro) করোনার হানা। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে মেট্রো কর্মীদের মধ্যে করোনা পজিটিভের সংখ্যা ২০-র ও বেশি। মারণ ভাইরাসের এই প্রকোপ দেখেই বন্ধ রাখা হল কলকাতার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। লকডাউন কাটিয়ে গত ১৯ জুন থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গের কাজ শুরু হয়েছিল। তবে কোভিডের হানায় ফের তা বন্ধ হয়ে গেল। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এই অংশের নির্মাণের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক নির্মাণ সংস্থা আইটিডি-আইটিডি সেম-এর দাবি, করোনার উপদ্রবের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে নতুন করে পাতালে কাজ শুরু হলে সরকারি নির্দেশমতো সব বিধি-নিষেধই মানা হচ্ছিল। পাতালে বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ১৫০ জনের কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, বউবাজারের 'বিপজ্জনক' চিহ্নিত এলাকা পেরিয়ে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া পর্যন্ত এসে গিয়েছিল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ কাটার এই যন্ত্র। এ বার বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ধরে সোজা শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছনোই ছিল অপেক্ষা। মাত্র ৫০০ মিটারের এই দূরত্ব পেরোতে খুব বেশি হলে ২০ দিন লাগার কথা। এমন সময়েই ঘটল বিপত্তি। এই সংক্রমণের খবর পেয়ে নির্মাণকারী সংস্থার আধিকারিকরা বলছেন, 'গোটা এলাকা নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হয়। কর্মীর সংখ্যাও কমানো হয়েছিল। প্রতি শিফটে খুব বেশি হলে ৩০ জনকে নামানো হত। নিরাপদ দূরত্ব যতটা সম্ভব মেনেই কাজ হত।' মাটির ২৫ মিটার গভীরে মাস্ক পরে কাজ করা অসম্ভব সেই ভ্যাপসা গরমে পিপিই পরে কাজ করার প্রশ্নই আসছে না। তাই কিছুক্ষণ পর পরই তাঁদের উপরে খোলা হাওয়ায় পাঠানো হত। আরও পড়ুন-Lord Ram Not Indian But Nepali: ‘প্রকৃত অযোধ্যা নেপালে অবস্থিত, রাম ভারতীয় নন’, কাঠমান্ডু থেকে বিস্ফোরক দাবি কেপি শর্মা ওলি
জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গে নামার আগে তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হত। প্রতি ঘণ্টায় দেহ স্যানিটাইজ করা হত। উপরে উঠলেও নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে যেতে দেওয়া হত না। এত ব্যবস্থার পরেও ডাক্তারি পরীক্ষায় ১৪ জন কর্মীর শরীরে করোনাভাইরাসের নমুনা মিলেছে। কী ভাবে হল? সুড়ঙ্গে কাজ করার সময়, নাকি বাড়িতেই কোনও ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন তাঁরা? এর জবাব পাননি নির্মাণসংস্থার কর্তারা। তবে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে শুক্রবার থেকে কাজ বন্ধ করা হয়েছে।