গত শুক্রবার কলকাতা এসে তিনটি মেট্রো লাইনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সম্প্রসারণের পর কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) সঙ্গে যুক্ত হল অতিরিক্ত ১৪ কিলোমিটার রাস্তা। নোয়াপাড়া-এয়ারপোর্ট, বেলেঘাটা-রুবি, শিয়ালদহ-হাওড়া লাইন পুরোদমে চালু হল। যার ফলে যানজন পেরিয়ে যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমতে চলেছে নিত্যযাত্রীদের। শুক্রবার এই তিনটি লাইনের উদ্বোধন হতে্ই কৃতিত্ব জাহির করতে ব্যস্ত বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি। একদিকে বামেদের দাবি, তাঁদের আমলেই শিলান্যাস হয়েছিল ইস্ট-ওয়েস্ট্র মেট্রোরুটের। অন্যদিকে কলকাতায় মেট্রো করিডোরের পরিকল্পনা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এবং বর্তমানে যে সম্প্রসারণ হচ্ছে তা বাস্তবায়ন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর হয়েছে বলে দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

দিল্লির সঙ্গে কলকাতা মেট্রোর তুলনা দিলীপের

অন্যদিকে বিজেপি দাবি করছে, তাঁরা সরকারে আসার পরেই গতি পেয়েছে কলকাতা মেট্রো সম্প্রসারণের। এই নিয়ে গতকাল থেকেই তিনটি দলের মধ্যে রাজনীতির দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বক্তব্য, “কলকাতা মেট্রো ৪০-৫০ বছর আগে শুরু হয়েছে। এতদিনে কলকাতা মেট্রো কতদূর এসে পৌঁছেছে। অন্যদিকে দিল্লি মেট্রো কলকাতার পরে শুরু হয়ে আজ গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে দিল্লিতে যানজটের সমস্যা অনেকটাই কমেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫ বছর মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন, তার আগে রেলমন্ত্রী থেকেছেন, কতটা সম্প্রসারণ তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন হয়েছে”?

দেখুন দিলীপের মন্তব্য

কৃতিত্ব নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের

দিলীপ আরও বলেন, “তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কলকাতায় যানজটের সমস্যা সমাধান করতে পারেননি। এদিকে কৃতিত্ব নেওয়ার বেলায় আগে চলে আসবে। এদিকে কাজ কোনওকিছুই হচ্ছে না। জনতা সবই দেখতে পাচ্ছে”। প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতা  ১৪ কিলোমিটার যাত্রাপথ সম্প্রসারণ হল। খোলা হল ৯টি মেট্রো স্টেশন। পুজোর আগে ব্যস্ত এলাকাগুলিতে জনসাধারণের যাত্রাপথের আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে।