কলকাতা, ১৬ নভেম্বর: বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি। উপ-নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর বদলে কয়েকটি কেন্দ্রে জামানত জব্দ। আর পুরভোটের আগেভাগে বাবুলের তৃণমূলে পাড়ি তাঁকে বড়ো দাগা দিয়েছিল। ততদিনে দলবদলুরা ফের “ভুল হয়ে গেছে” গান গেয়ে ঘাসফুল শিবিরে ফিরতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় রাজ্য সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর সুযোগ পেলেন না দিলীপ ঘোষ। তার আগেই তাঁকে দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি করে দেওয়া হল। তবে দলের তরুণ তুর্কির এমন রং বদলে বেজায় ক্ষুব্ধ দিলীপবাবু টুইটারে তোপ দাগলেন। ছেড়ে কথা বললেন না শুভেন্দু অধিকারীও। তবে তাতে তৃণমূল কংগ্রেস বা বাবুল সুপ্রিয়র বিশেষ কিছু এলগেল বলে মনে হল না। এদিকে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পুর নির্বাচনের ডঙ্কা বাজতে চলেছে। আরও পড়ুন- Rajkummar Rao And Patralekhaa Wedding: 'আমার পরান ভরা ভালবাসা আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম', ওড়নায় কনে পত্রলেখার মনের কথা পড়লেন রাজকুমার রাও?
শোনা যাচ্ছে এক ব্যক্তি একপদ অপবাদকে সরাতে এবার আর কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে মেয়র পদের প্রার্থী হচ্ছেন না ফিরহাদ হাকিম। বরং বাবুল সুপ্রিয় মেয়র পদপ্রার্থী করে লড়তে পারে তৃণমূল। এই খবর শুনে এদিন কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বঙ্গ বিজেপির ভূতপূর্ব সভাপতি। তিনি সাফ বলেছেন, তৃণমূল বাবুলকে ঝুনঝুনি ছাড়া কিছুই দেবে না। শহরে থাকলে নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানেই বাবুলের প্রসঙ্গ ওঠে। সাংবাদিকদের কাছে তিনি জানতে পারেন বাবুলকে মেয়র পদের প্রার্থী করার কথা। প্রশ্ন শুনেই তাঁর জবাব, “তৃণমূল ওঁকে ঝুনঝুনি ছাড়া কিছুই দেবে না।তৃণমূল বাবুলের জন্য কিছুই করবে না। কিছুই দেবে না। এখন ঝুনঝুনি দিচ্ছে। বাবুল কবে কলকাতায় কাজ করলেন? উনি তো কলকাতার ভোটারই নন।”
আসানসোলের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সেকানকারই ভোটার। যদিও কলকাতার কৈলাস বোস স্ট্রিটে রয়েছে বাবুল সুপ্রিয়দের পৈতৃক বাড়ি, তাই তিনি যে পুর নির্বাচনে আংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম আইনি ঝামেলায় পড়বেন না, তা বলাই বাহুল্য। মেযর পদপ্রার্থীর বিষয়টি গুজব হলেও দক্ষিণ কলকাতার কোনও একটি ওয়ার্ডে বাবুলকে প্রার্থী করা হতে পারে, এ তথ্য হজম করা যায়। বাকিটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।