বুলবুলের তাণ্ডব। ফাইল ফোটো (Photo: ANI)

কলকাতা, ২৯ ডিসেম্বর: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের (Cyclone Bulbul) জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাই ৬ জেলার কৃষকদের সাহায্য করতে ১,৩৮৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করল অর্থ দফতর। বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে পর্যবেক্ষণে এসেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের একটা টাকাও মেলেনি বলে দাবি করেছে রাজ্য সরকার। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, ২৮ নভেম্বর থেকে ৬ জেলায় শিবির করে শুরু হয়েছে চেক বিলি। এখনও পর্যন্ত ৪ লাখ ১৭ হাজার ৫৪২ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে ১৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার আর্থিক সাহায্য। এর পাশাপাশি আরও ৬ লাখ কৃষককে দেওয়ার জন্য প্রায় ২২০ কোটি টাকার চেক প্রস্তুত করেছে নবান্ন।

কিছুদিন আগেই রাজ্যের উপর আছড়ে পড়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ওই ঝড়ের প্রভাবে এ রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপরেই ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রীয় সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কিন্তু ২ ডিসেম্বর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) জানান যে বুলবুল বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলির জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পায়নি রাজ্য সরকার। রাজ্য বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি ওই কথা বলেন। পাশাপাশি তিনি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কেও বিস্তারিত জানান। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, "বুলবুল নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনওরকম কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি।'' মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের পরই এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে লিখিত জবাবে জানান, ২০১৯-২০ সালে ৪১৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। পশ্চিমবঙ্গের আপৎকালীন মোকাবিলায় যে তহবিল রয়েছে, সেই তহবিলে কেন্দ্রের যে অংশিদারিত্ব রয়েছে, তাতেই দেওয়া হয়েছে ওই টাকা। সেই দাবি খারিজ করে নবান্ন। আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Poetry: ফের কবিতা লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে নতুন প্রতিবাদী কবিতার নাম 'অধিকার'

বুলবুলের জেরে ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণ দাবি করে নতুন দিল্লিকে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল রাজ্য। বলা হয়েছিল, বুলবুলে ২৩ হাজার ৮১১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৫৯৭ কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বিদ্যুতে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩৫ লাখ মানুষ। ৫ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৫টি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নামখানা ও পাথরপ্রতিমার বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় ঘুরে দেখে গিয়েছেন ৯ জনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।