কলকাতা, ২৪ জুন: মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কাই সত্যি হল, বৃহস্পতিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তৃণমূল নেতা তমোনাশ ঘোষ (Tamonash Ghosh)। তিনি ফলতার তিন বারের বিধায়ক। তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই তমোনাশবাবু মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ছিলেন। ইতিমধ্যেই দলীয় নেতার মৃত্যুতে টুইট বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান তমোনাশবাবু করোনা আক্রান্ত ছিলেন। গতমাসে দুর্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফেরার পরে ২২ মে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টেস্টে করোনা পজিটিভ মেলে। প্রথম থেকেই শ্বাসকষ্ট থাকায় তৃণমূল বিধায়ককে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি ছিল। ওযুধ দিয়ে তা কমানো হয়।
সেই সঙ্গে সোডিয়ামের মাত্রাও বেড়ে যাওয়ায় তা কমানোর চেষ্টা হয়। তবে দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশনে থাকায় তাঁর গলাতে সংক্রমণ হওয়ায় আর শেষরক্ষা করা গেল না। বুধবার সকালে বাইপাসের ধারের ওই হাসপাতালে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। গত সপ্তাহেই এনিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেছিলেন, “চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমি জানি না তমোনাশ ঘোষ বাঁচবে কিনা।” তাঁর আশঙ্কাই সত্যি হল। বরাবরই মিশুকে প্রকৃতির মানুষ তমোনাশবাবুর বিরোধী রাজনীতিকদের সঙ্গেও সখ্যতা রয়েছে। এদিকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজই নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন মমতা ব্যানার্জি। তমোনাশ ঘোষের মৃত্যুতে হয়তো সেই বৈঠক স্থগিত হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আরও পড়ুন-IAS Officer Vijay Shankar: আত্মঘাতী আইএমএ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত বেঙ্গালুরুর প্রাক্তন আইএএস বিজয় শংকর, বাড়ি থেকে উদ্ধার দেহ
Very, very sad. Tamonash Ghosh, 3-time MLA from Falta & party treasurer since 1998 had to leave us today. Been with us for over 35 years, he was dedicated to the cause of the people & party. He contributed much through his social work. (1/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 24, 2020
এদিকে দলীয় বিধায়কের মৃত্যুতে মমতা ব্যানার্জি লিখেছেন, “গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ফলতার তিনবারের বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ প্রয়াত হয়েছেন। গত ৩৫ বছর ধরে তিনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন। মানুষ ও দলের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। সমাজকর্মীর ভূমিকায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর ছেড়ে যাওয়া শূন্যস্থান পূরণ করা শক্ত কাজ। দল ও আমার তরফে তমোনাশবাবুর স্ত্রী ঝর্ণা ও দুই মেয়েকে আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”