কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি: রিমোটের সাহায্যে বিস্ফোরণ করানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে বোমায় আহত রাজ্যের শ্রম দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে (Jakir Hossain) দেখতে এদিন এসএসকেএমএ আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই হামলা সম্পর্কে একথা বলেন তিনি। জানান, “জাকিরের অস্ত্রোপচার চলছে এখন। মোটামুটি ২৬ জন আহত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ঘটনাটি খুব ভয়াবহ। যারা হামলা করেছে তাদের কাছে নিশ্চয় আগে থেকেই খবর ছিল। রিমোটে বিস্ফোরণটা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ষ্টেশনে কোনও রেল পুলিশ ছিল না, পুরোটাই ষড়যন্ত্র। পরিকল্পনা করেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।” মমতার সুরে সুর মিলিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “বাংলায় বিরোধীরা কাউকে সুরক্ষিত থাকতে দিচ্ছে না।” আরও পড়ুন-Hiran Chatterjee Join BJP: আজ অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যুব তৃণমূলের ‘বিক্ষুব্ধ’ অভিনেতা হিরণ
রেলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে সায় দিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, স্টেশনে কেন ছিল না আরপিএফ? কেন স্টেশন চত্বর অন্ধকার ছিল? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগকে নস্যাৎ করে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, “অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে হবে না, রেল কি রাজ্য চালায়? রাজ্যে জঙ্গলরাজ চলছে। পুলিশমন্ত্রী হিসেবে দায় নিতে হবে মমতাকেই। যে দলের নেতা গরুপাচারে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র, সেখানে জাকির হোসেনের এই অবস্থাই তো হবে।”
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন মন্ত্রী জাকির হোসেন। তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। ইতিমধ্যেই হামলার ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার সকালে সিআইডি-র একটি দল নিমতিতা স্টেশনে পৌঁছেছে। আধিকারিকরা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন। রেললাইনে নেমেও চলে তাঁরা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন। ঘটনাস্থলে চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে বোমার টুকরো। বিস্ফোরণ কীভাবে ঘটল তা বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এনিয়ে জঙ্গিপুর থানার পুলিশের সঙ্গে সিআইডি কর্তাদের আলোচনাও হয়েছে একপ্রস্থ। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।