তানাশাহির রাজনীতি চলছে, এসএসকেএম প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ মুকুল রায়ের
মমতা ব্যানার্জি ও মুকুল রায়( credit-IANS)

কলকাতা, ১৩জুন:  “তানাশাহির রাজনীতি চলছে, হিটলারকেও (Hitlar)  হার মানিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”। বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে গিয়ে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  (CM Mamata Banerjee) । বলেন, চারঘণ্টার মধ্যে আন্দোলন তুলে কাজে না ফিরলে কড়া পদক্ষেপ নেবে সরকার। এমনকী, হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়েই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের আউট সাইডার বলেন তিনি। এমনকী, এই অচলাবস্থার পিছনে বিরোধী বিজেপি-র হাত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন। এই ঘটনার পরেই ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor’s)  মুখ্যমন্ত্রীকে নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন। আসরে নামেন বিজেপি নেতা তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবল পরাক্রমী প্রতিদ্বন্দ্বি মুকুল রায়। আরও পড়ুন- তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলে জুনিয়র ডাক্তারদের মারধরের ঘটনায় ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ শাবা হাকিমের, কী বললেন মেয়রের মেয়ে?

এরপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে মুকুলবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য হিটলারকেও হার মানিয়ে যায়। হাসপাতালে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া এবং জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তা, দুই দায়িত্বই স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেরই বর্তায়। হাসপাতালে যেমন সাধারণ গরিব মানুষের চিকিৎসা পাওয়া উচিত, তেমনই সঙ্গে সঙ্গে এটাও ঠিক, হাসপাতালে চাকরি করতে গিয়ে,  তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে, কেন বারবার তাঁরা বহিরাগতদের হাতে নিগৃহীত হবেন।

মুকুল রায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করার সুযোগ একদম ছাড়েননি। বলেছেন, প্রতিটি হাসপাতালে কোনও ডাক্তার তাঁর নিজস্ব দায়িত্ববোধ থেকে কোনও রোগীকে বঞ্চিত করেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে,  তার বিরুদ্ধে এই সরকার আজ পর্যন্ত কোনও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করেনি। তার কারণ, যাঁরা ডাক্তারদের উপর হামলা করেছে, তাঁদের অধিকাংশই তাঁদের দলের লোক।

উল্লেখ্য, এদিন সকালেই জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরাতে এসএসকেএমে যান মুখ্যমন্ত্রী। এমনিতেই টানা আন্দোলনের জেরে রাজ্য জুড়েই কার্যত স্বাস্থ্য পরিষেবা শিকেয় উঠেছে। কলকাতার সব কটি মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে পরিষেবা বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে গিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  ৪ ঘণ্টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ না দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দেন মুখ্যমন্ত্রী।