কলকাতা, ২৮ মে: লকডাউনের (Lockdown) জেরে চাকরি হারিয়েছেন অনেকেই। কারওর কারওর আবার বেতনও কমেছে বেশ কিছুটা।এহেন পরিস্থিতিতে মাছ-মাংস-সবজির দোকানে আকাশছোঁয়া দামের জেরে সিঁদুরে মেঘ দেখছে মধ্যবিত্ত। আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Amphan) তাণ্ডবে ভেসে গেছে জমি-পুকুর। দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলা ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। তার উপর কালবৈশাখীর (Kalbaishakhi) দাপটে মাঝেমধ্যেই বজ্যবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিও চলছে। সবমিলিয়ে মুরগি (Chicken), পাঁঠা (Mutton) এবং মাছের দাম (Fish) রীতিমত আকাশছোঁয়া। আরও পড়ুন: Coronavirus In West Bengal: করোনা আক্রান্ত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের কর্মী আবাসনের ৭ বাসিন্দা
লকডাউনের শুরুর দিকে মুরগির দাম একধাক্কায় কমে গেছিল বেশ কিছুটা। তবে আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের পর সেই দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। কমবেশী ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস। অন্যদিকে পাঁঠার মাংসের দাম কেজি প্রতি কমবেশি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভিনরাজ্য থেকে পাঁঠার আমদানি বন্ধ রয়েছে। যার জেরে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খাশির মাংসের।
অন্যদিকে আম্ফানের তাণ্ডবে পোল্ট্রি ব্যবসাতেও ব্যপক ক্ষতি হয়। উড়ে গিয়েছে একাধিক পোল্ট্রি ফার্মের শেল্টার। লক্ষ লক্ষ মুরগি মারা গেছে। জলে ভেসে গেছে একাধিক পোল্ট্রি ফার্ম। যার জেরে ব্যপক ক্ষতির মুখে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। এদিকে পাঁঠার দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায়, মুরগির চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় যোগান নেই। যার জেরে বাড়ছে মুরগির দামও।
সবজির দামও বেড়েছে বেশ কিছুটা। তবুও তা নাগালের মধ্যে। কিন্তু মুরগির মত মাছের দামেও হাঁসফাঁস অবস্থা বাঙালির। রুই, কাতলা সব কিছুই কেজি প্রতি টাকা ২০০-র উপরে। রবিবার কিংবা শনিবার ছুটির দিনে জমিয়ে একটু মাছ-ভাত কিংবা মাংস-ভাত খাওয়ার কথা ভাবলেও ছ্যাঁকা খাওয়ার জোগাড় বাঙালির।