কলকাতা, ১০ সেপ্টেম্বর: এবার চেন্নাই থেকে গ্রেপ্তার জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (Jamaat-ul-Mujahideen Bangladesh) (জেএমবি) জঙ্গি গোষ্ঠীর আরও এক প্রথম সারির নেতা। কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স মঙ্গলবার ভোর রাতে চেন্নাইয়ের থোরিয়াপক্কনম এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করে। কলকাতা পুলিশের দাবি ধৃত জেএমবি নেতা বর্ধমানের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের আসাদুল্লা শেখ (Asadullah Sk) ওরফে রাজাকে। ওই বাড়িতে সে মাস তিনেক ধরে ভাড়া থাকছিল বলে জানা গিয়েছে। ইজাজের অন্যতম সহযোগী কাশেমকে পাকড়াও করার পরেই উঠে আসে আসাদুল্লার নাম। কাশেমের কাছ থেকেই আসাদুল্লার চেন্নাইয়ের (Chennai) ডেরার হদিস পান এসটিএফের (STF) গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, কাশেম গ্রেপ্তার হওয়ার পর কয়েক দিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল আসাদুল্লা। গোয়েন্দারা জাল পেতে রাখেন। এর পর নিজের ডেরাতে ফিরতেই তাকে পাকড়াও করা হয়। এমনিতে আসাদুল্লা বর্ধমানের ভাতারের বাসিন্দা। জেএমবি সংগঠনে সে বীরভূমের ইজাজের সমসাময়িক। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ পরবর্তী সময়ে জেএমবি-র বীরভূম-বর্ধমান-মুর্শিদাবাদ মডিউলের সব সদস্যই এ রাজ্য ছেড়ে দক্ষিণ ভারতে আশ্রয় নেয়। ওই গা-ঢাকা দেওয়া সদস্যদের মধ্যে আসাদুল্লাও ছিল। ইজাজের মতোই সে মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ নেয়। পরবর্তীতে নিজেও প্রশিক্ষকের ভূমিকা পালন করে। খাগড়াগড় পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি থিতিয়ে গেলে দলছুট হয়ে যাওয়া সদস্যদের একজোট করতে মাঠে নামে কওসর এবং সংগঠনের ‘নিউক্লিয়াস’ সালাউদ্দিন। সেই সূত্র ধরেই ফের সংগঠনে সক্রিয় হয় আসাদুল্লা। আরও পড়ুন-Acid Attack: বাড়ি ফেরার পথে অ্যাসিড হামলার শিকার নবম শ্রেণীর ২ ছাত্রীর, ঝলসে গেল গা- মুখ
উল্লেখ্য, কওসরের পরিকল্পনামাফিক বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের জন্য তৈরি করা সংগঠনের ধুলিয়ান মডিউলকে গড়ে তোলা, তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং বিস্ফোরণের পরিকল্পনার পিছনে যে দলটি কাজ করেছিল, তার মধ্যে আসাদুল্লাও ছিল। ইজাজের সঙ্গী হিসাবে সে কাজ করছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, চেন্নাইয়ে ঘাঁটি গেড়ে থাকলেও এ রাজ্যে মাস কয়েক আগেই সে এসেছিল। পুরনো কয়েকটি ঘাঁটিতে গিয়ে সে সংগঠনের প্রতি ‘সহৃদয়’ কয়েক জনের সঙ্গে দেখাও করে। জাল পরিচয়পত্র দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল চেন্নাইয়ে। তার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই নথি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে খবর।