শুভেন্দু অধিকারী ও কলকাতা হাইকোর্ট (Photo Credits: Wikimedia Commons, Facebook)

চিড়িয়াখানার (Alipore Zoo) জমি বেআইনিভাবে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে চিড়িয়াখানার উল্টোদিকে যে জমি রয়েছে, সেখানে পিপিপি মডেলের কোনও বেসরকারি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হচ্ছে। ফলে সেখানে একটি বহুতল নির্মাণ করে সরকারি, বেসরকারি একাধিক স্টল তৈরি হবে। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার বিরোধীতাতেই পথে নামতে চলেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই এই মিছিলের অনুমতির জন্য হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীরা। প্রথমে সেই মিছিলের সপক্ষে রায় দেয় আদালত। তারপর রাজ্যের তরফ থেকে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হয়, সেখানেও মুখ পোড়ে রাজ্য সরকারের। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখে।

শর্তসাপেক্ষে বিজেপির মিছিল

যদিও এই মিছিলের ক্ষেত্রে একাধিক শর্ত দিয়েছে আদালত। ৯ জানুয়ারী অর্থাৎ বুধবার দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত এই মিছিল করতে হবে। রবীন্দ্র সদন থেকে ন্যাশনাল লাইব্রেরি পর্যন্ত করতে হবে। রুট হবে পিটিএস হয়ে চিড়িয়াখানার সামনে গিয়ে লাইব্রেরির সামনে শেষ করতে হবে। মিছিলে এক হাজারের বেশি লোক থাকবে না। সাধারণ মানুষদের প্রাধান্য দেওয়া ও হাসপাতালমুখী লোকজনেদের আগে যেতে দিতে হবে। এবং মিছিলে কোনও উস্কানীমূলক মন্তব্য করা যাবে না।

মামলা নিয়ে রাজ্যের যুক্তি

যদিও হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা নিয়ে যান রাজ্যের আইনজীবী। তিনি এদিন বলেন, সবকিছু নিয়ে মামলা করা যায় না। চিড়িয়াখানার বাণিজ্যিকরণের অর্থ আমরাই বুঝতে পারছি না। সম্ভবত বিরোধীরাও এর সঠিক মানে জানেন না। যদিও তাঁর যুক্তি সেভাবে ধোপে টিকল না। এদিকে হাইকোর্টের রায় পেতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্বে মিছিল বের করে বিজেপি।