শুক্রবার বিকেলে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর মৃত্যুতে সরগরম আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) চত্বর। এদিন মৃত ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের পর বের করে আনা হয়। বাড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া সময় বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ প্রশাসন। তবে বিক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়াদের সরিয়ে অবশ্য দেহ ছাত্রীর বাড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল রয়েছেন। তাঁর দাবি, ওই ছাত্রীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছে। শরীরে গভীর ক্ষতও রয়েছে। পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে যে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই মামলার তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করাতে হবে। এখানে ময়নাতদন্ত হয়েছে। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের ওপর সম্পূর্ণ ভরসা করা যাচ্ছে না। তাই কেন্দ্র সরকারের অধীনস্ত কোনও হাসপাতালে আবারও ময়নাতদন্ত করার জন্য আবেদন করা হচ্ছে।

বুধবার গভীর রাতে আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়ছিল সোদপুর নিবাসী ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ। জানা যাচ্ছে, টানা ৩৬ ঘন্টা ডিউটি করার পর বিশ্রাম নিতে সেমিনার রুমে এসেছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। তারপরেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে অনুমান তদন্তকারী আধিকারিকদের। এই ঘটনার পর কর্মবিরতিতে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনিত গোয়েল। তিনি এদিন এসে ঘটনাস্থল সরজেমিনে খতিয়ে দেখেছেন। অন্যদিক তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যা নেতৃত্ব দেবেন কলেজের ডিন। রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে স্বাস্থ্য দফতরে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা নাগাদ পরিবারের কাছে দুঃসংবাদ যায়। তারপরেই হাসপাতালে চলে আসেন মৃত চিকিৎসকের বাবা মা। দুঃসংবাদ পাওয়ার পরেই শোকস্তব্ধ বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী, পরিজনেরা। পরিবারের তরফে জানানো হয় ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দেখে অর্ধনগ্ন অবস্থায় মেয়ের দেহ পড়ে রয়েছে। গলায় ছিল আঘাতের চিহ্ন। শরীরে ক্ষতচিহ্নগুলিতে ছিল চাপচাপ রক্ত।