কলকাতা, ২৩ ডিসেম্বর: ইতিমধ্যেই কলকাতা বিমান বন্দরে (Kolkata Airport) এসে পৌঁছেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। আজ সোমবার নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তৃণমূলের পাল্টা বিজেপির মহামিছিলের মুখ তিনিই। জাতীয় নাগরিক পঞ্জি এবং কেন্দ্রের নয়া নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে এদিন মহামিছিলের ডাক দেয় বিজেপি। বিমানবন্দরে তিনি এসে পৌঁছতেই কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়-সহ দলের বিভিন্ন নেতারা তাঁকে সম্বর্ধনা জানাতে হাজির হয়ে যান। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কর্মসূচি।
বিজেপির লক্ষ্য, বাংলায় সিএএ-র পক্ষেও যে বিপুল জনমত আছে, সেই বার্তাই বিরোধীদের দেওয়া। এদিন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে হিন্দ সিনেমার সামনে থেকে শুরু হবে বিজেপির মহামিছিল। সেন্ট্রাল এভিনিউ ধরে এগোবে। তারপর গতবার অমিত শাহের মিছিলে কলেজস্ট্রিটে (College Street) অশান্তির কথা মাথায় রেখে মিছিলের রুট অন্যদিকে ঘোরানো হয়েছে। জে পি নাড্ডা ছাড়াও মিছিলে উপস্থিত থাকবেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তবে শেষ পর্যন্ত শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল যেতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনও সংশয় আছে বিজেপি নেতাদের। গতকাল রবিবার রাতেই মিছিলের রুট পরিদর্শনে যান মুকুল রায়, অরবিন্দ মেননরা। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদের দুই কক্ষে পাশ হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে। জবাবে বিজেপি নেতারা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল-মিটিং করলেও সেভাবে কোনও বার্তা দিতে পারেনি। এদিনের মিছিল খাতায়-কলমে কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিনন্দন জানানোর জন্য হলেও, বিজেপি আদতে চাইছে এই মিছিল থেকে শক্তি দেখাতে। কেননা, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষেও যে বাংলার হাজার হাজার মানুষ আছেন, সেটা গোটা দেশকে দেখানো এই মুহূর্তে খুবই জরুরি বিজেপির কাছে। আরও পড়ুন: PM Narendra Modi On CAA: 'কোনও ভারতীয় মুসলিমকে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হবে না: নরেন্দ্র মোদি
#Kolkata: Now, the route for Bharatiya Janata Party rally is from Hind Cinema-CR Avenue-to culminate at Shyambazar, where BJP Working President JP Nadda will address a public gathering. https://t.co/qLYwqEHkLH
— ANI (@ANI) December 23, 2019
রবিবার দিল্লির জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আক্রমণের নিশানা বানিয়েছেন মূলত তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জিকেই। কেননা তিনিও বিলক্ষণ বুঝে গিয়েছেন, দেশজুড়ে সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছেন মমতাই। এই অবস্থায় মমতার রাজ্যে সিএএ-র পক্ষে শক্তি প্রদর্শন করে বিজেপিও দেখাতে চাইছে, বাংলায় তাদেরও জনভিত্তি কতটা।