প্রতীকী ছবি(Photo Credit: ANI)

কলকাতা, ২৭ মে: ভোট মিটতে না মিটতেই শুরু খুনের রাজনীতি। কাঁকিনাড়ায় (Kankinara) খুন বিজেপি কর্মী, মৃতের নাম চন্দন সাউ((২৬)(Chandan Sahu)। লোকসভা ভোটের আগেই তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে খবর। তাঁর বাড়ি ভাটপাড়া পুরসভার সাতনম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাডাঙায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত সাড়েদশটা নাগাদ। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে চন্দনকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে দলীয় সমর্থকের মৃত্যুর ঘটনায় শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি(BJP)। যদিও তৃণমূলের(TMC) তরফে এই খুনের ঘটনা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ভাটপাড়ার অবিসংবাদী নেতা অর্জুন সিং(Arjun Singh) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত সংশ্লিষ্ট এলাকা। লোকসভা ভোট যত এগিয়েছে ততই গন্ডগোল বেড়েছে। গত ১৯ তারিখ বিধানসভা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া। লোকাল ট্রেনে বোমা গুলি থেকে শুরু করে ইটবৃষ্টি কিছুই বাদ যায়নি। তবে ভোটের ফলাফলের পর বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র ও ভাটপাড়া বিধান সভায় ছেলে পবন ও বাবা অর্জুন জিতে গেলে গন্ডগোলের মাত্রাটা অনেকটাই কমে যায়। তারপর থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে গোলমাল বাধলেও ততটা বড় আকার ধারণ করেনি, কিন্তু রবিবারের রাতের ঘটনা যে ধিকি ধিকি জ্বলতে থাকা আগুনে ঘি ফেলবে তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মোটেই সন্দেহ নেই।

বিজেপি সূত্রের খবর, ভোটের আগের পরিস্থিতির জেরে রাজনৈতিক আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, এমতাবস্থায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যপাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠান। কোনওরকম ভোট মিটতেই ফের অশান্তির ছায়া কাঁকিনাড়ায়। স্থানীয় বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দনবাবু রবিবার জগদ্দলের পার্টি অফিসে গিয়েছিলেন। রাতে সেখান থেকেই বাইকে চেপে ফিরছিলেন, সেই সময়ই তাঁকে গুলি করা হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বারাকপুর কমিশনারেটের(Barakpore Commissionerate) পুলিশ, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার জেরে রাত থেকেই উত্তপ্ত গোটা এলাকা, দিনের আলো ফুটলে পরিস্থিতি যে আরও খারাপ হবে তানিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।