বহরমপুর, ১৮ ডিসেম্বর: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) আক্রান্ত হলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (BJP leader Kailash Vijayvargiya)। তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে চলল বিক্ষোভ। কালো পতাকা দেখানো হল বিজয়বর্গীয়কে। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উদ্দেশ্যে 'গো ব্যাক' স্লোগান দিতেও শোনা যায় বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভের মধ্য়ে গাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে আসতেও দেখা যায় বিজয়বর্গীয়কে। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে দেন।
আজ মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে (Jangipur) যাওয়ার কর্মসূচি ছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের কারণে উত্তাল মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গা। এই পরিস্থিতিতে আজ জঙ্গিপুরে দলীয় কার্যালয়গুলি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল বিজয়বর্গীয়র। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়গুলিতে ব্যাপক হারে ভাঙচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বীরভূমের বোলপুর থেকে সড়কপথে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের উদ্দেশে রওনা দেন বিজেয়বর্গীয়। সকাল সাড়ে ৯টায় জঙ্গিপুর পৌঁছনোর কথা ছিল তাঁর। কিন্তু জাতীয় সড়কে একাধিক জায়গায় যানজটের জেরে অন্য একটি রাস্তা দিয়ে নবগ্রামে পৌঁছোন তিনি। আর নবগ্রামে পৌঁছোনো মাত্রই বিক্ষোভের মুখে পড়েন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর গাড়ি আটকে শুরু হয় স্লোগানিং, বিক্ষোভ। গাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে আসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শুধু সাগরদিঘি নয়, মোরগ্রামের কাছেও বিক্ষোভের মুখে পড়েন কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: 'নাগরিকত্ব আইন কোনও ভারতবাসীর উপরেই কুপ্রভাব ফেলছে না!' মন্তব্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের
मुर्शिदाबाद जाते हुए नवग्राम के पास मुस्लिमों की भीड़ ने रिक्शा सामने अड़ाकर हमारा रास्ता रोक दिया। भीड़ की उग्रता देखकर लगता है कि इन्हें भड़काकर हमारे खिलाफ किया गया है। प्रशासन की लापरवाही इससे नजर आती है कि कोई फोन तक नहीं उठा रहा! pic.twitter.com/YOnGVhgOfx
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) December 18, 2019
শেষে অন্য আরেকটি রাস্তা দিয়ে পাঁচগ্রামের দিকে রওনা দেয় তাঁর কনভয়। এই ঘটনায় সোশাল মিডিয়ায় চূড়ান্ত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতা। বিজয়বর্গীয় লিখেছেন, "নবগ্রামে আমার গাড়ির দুদিক থেকে ভিড় ঘিরে ফেলেছে। প্রশাসন চুপ করে রয়েছে। এসপি ও ডিজি ফোন তুলছেন না। পশ্চিমবঙ্গে এই অরাজক সরকারের আমলে যে কোনও কিছু হতে পারে। এখানে কেউ সুরক্ষিত নয়।"
পরে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "মুর্শিদাবাদে যাওয়ার পথে নবগ্রামে অনেক গুন্ডারা আমাদের গাড়ি ঘিরে রেখেছিল। আমাকে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যেতে দেওয়া হয়নি। মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে আমাদের থামানোর চেষ্টা চলছে। আমি এর নিন্দা করছি।"