বনধে রাজ্য পুলিশ (Photo Credits: ANI)

রায়গঞ্জ, ১৪ জুলাই: রায়গঞ্জের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের রহস্যমৃত্যুর (Debendra Nath Ray Death) সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি। এবং সেই দাবিতেই মঙ্গলবার সমগ্র উত্তরবঙ্গে ডাকা হয়েছে ১২ ঘণ্টার বনধ। বনধ সফল করতে সকাল থেকেই পথে নেমে পড়েছে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। উত্তর দিনাজপুর জুড়ে বনধের ছবি সকলের নজরে পড়েছে। রায়গঞ্জ ব্লকে বনধের চেহারা সর্বাত্মক। পাশাপাশি চোপড়া, ইসলামপুর-সহ গোটাজেলার দোকানপাট বন্ধ, রাস্তায় নামেনি বাস। ২০১৬-র ভোটে সিপিএমের টিকিটে হেমতাবাদ থেকে জিতেছিলেন দেবেন্দ্রনাথ রায়। গত বছর তিনি যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। গতকাল দুপুরে রাজ্য পুলিশের তরফে বলা হয়, বিধায়কের জামার পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট মিলেছে, তাতে দু’জনের নামও লেখা রয়েছে। তবে সেই নাম সম্পর্কে রাজ্য পুলিশ কিছুই বলেনি।

এদিকে দলীয় নেতার মৃত্যুকে আত্মহত্যা নয় খুন বলে দাবি রাজ্য বিজেপির। সোমবার সকালে রায়গঞ্জ ব্লকের হেমতাবাদের দেবেন মোড়ের কাছে একটি মোবাইলের দোকানের সামনে বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তা নিয়ে সারাদিন বিস্তর রাজনৈতিক চাপানউতোর চলেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপির বক্তব্য, বিধায়ককে হত্যা করা হয়েছে। সিবিআই তদন্ত ছাড়া এর নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া সম্ভব নয়। কারণ সিআইডি আসলে তদন্তের নামে প্রকৃত ঘটনা চাপা দেবে। এদিকে পুলিশের সুইসাইড নোট সংক্রান্ত দাবিকে নস্যাৎ করেছে বিজেপি। বিধায়কের দেহ যে ভাবে ঝুলছিল এবং একটা হাত যে ভাবে বাঁধা অবস্থায় মুখের সামনে ছিল, সেই ছবি দেখিয়ে বিজেপি প্রশ্ন তোলে, হাত বেঁধে কেউ গলায় দড়ি দিতে পারেন কী ভাবে? বাড়ি থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে গিয়ে একটি দোকানের বারান্দা থেকেই বা আত্মহত্যা করতে যাবেন কেন দেবেন্দ্রনাথ রায়? প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষ। আরও পড়ুন-Rahul Gandhi On Indian News Media: 'ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফ্যাসিবাদের দিকে ঝুঁকছে, ঘৃণা ভরিয়ে দিচ্ছে টিভি চ্যানেলগুলি', তীব্র কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর

তাই আজকের বনধকে ঘিরে থমথম করছে উত্তর দিনাজপুর। কোচবিহারে রীতিমতো পিকেটিং করছে বিজেপি। জেলা সভাপতির নেতৃত্বে বাস থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বনধের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তৃণমূলের কর্মী সংগঠন আইএনটিটিইউসি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছেছে।