তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা (Photo Credits: Wikipedia)

নৈহাটি, ১৬ অক্টোবর: বুধবারই নির্ধারিত হয়ে গেল নৈহাটি পুরসভার (Naihati Municipality) ভাগ্য। বিজেপিকে (BJP) ২৪-০-এ হারিয়ে ক্ষমতায় এল তৃণমূল (Trinamool)। তবে এই আস্থা ভোটে অংশ নেননি বিজেপির কোনও কাউন্সিলরই। ৩৩ আসনের নৈহাটি পুরসভা ছিল তৃণমূলের দখলে। ৩৩ জন কাউন্সিলেরর মধ্যে ৩১ জনই ছিল তৃণমূলের। এই জয়ের পর পুরপ্রধান অশোক চ্যাটার্জি (Ashoke Chatterjee) বক্তব্য,  বিজেপি এতদিন জোর করে উন্নয়ন স্তব্ধ করে রেখেছিল। আমরা এবার ফের সেই উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করব।

চলতি বছর লোকসভা ভোটের (Loksava Vote) পরই অচলাবস্থা তৈরি হয় নৈহাটি পুরসভায়। তারপরই তৃণমূল কাউন্সিলরা (counsellor) বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন। ১৮ জন কাউন্সিলর একযোগে বিজেপিতে যাগদান করেন। যার ফলে ক্ষমতা হারায় তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। পরে অবশ্য বিজেপির মোহ ত্যাগ করে তাঁদের অধিকাংশ ফিরে আসেন তৃণমূলে। এরমধ্যেই আসে অনাস্থা প্রস্তাব। যার জেরে আস্থা ভোটের তোড়জোড় শুরু হয় নৈহাটিতে (Naihati)। উল্লেখ্য, এর আগে বারাকপুর (Barracpore) লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কাঁচরাপাড়া (Kachrapara) ও গারুলিয়া (Garulia) পুরসভাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল। এবার নৈহাটি পুরসভাতেও আস্থা ভোটে শক্তি পরীক্ষা হবে তৃণমূল পুরপ্রধানের। আরও পড়ুন: বিশ্ব খাদ্য দিবস: রাজ্যের সাড়ে ৮ কোটি নাগরিকের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত, টুইট মমতা ব্যানার্জির

উল্লেখ্য, তৃণমূল ছেড়ে কাউন্সিলররা বিজেপিতে চলে যাওয়ার পরই পুরপ্রধান অশোক চ্যাটার্জি জানিয়েছিলেন, তিনি পুরসভা চালাতে পারছেন না। এরপরই পুরসভায় প্রশাসক বসিয়ে দেয় রাজ্য। রাজ্যের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনাস্থা আনে বিজেপি। আস্থা ভোট ভেস্তে যায় গন্ডগোলের জেরে। পরে হাইকোর্টেরও (High Court) দ্বারস্থ হয় তাঁরা। সেই মামলার শেষে ফের আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। যে আস্থা ভোটে দেখা যায়, বিজেপিকে হারিয়ে নিরুঙ্কুশ জয় পেয়েছে তৃণমূল। আজ নৈহাটি পুরসভার আস্থা ভোটে একজন বিজেপি কাউন্সিলরেরও উপস্থিত না থাকা এবং ভোটাভুটিতে অংশ না নেওয়ার প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং জানিয়েছেন, "৫ মাস পরই পুরনির্বাচন। তখনই সামনে আসবে আসল ছবিটা। এখন তো পুলিস দিয়ে, ভয় দেখিয়ে বোর্ড দখল করেছে তৃণমূল। একারণেই নৈহাটি পুরসভার আস্থা ভোটে অংশ নেয়নি বিজেপি। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত।"