কলকাতা, ২৩ জুলাই: বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। ৫০০-র মধ্যে ৪৯৯ নম্বর নিয়ে প্রথম হয়েছে মুর্শিদাবাদের কান্দির রুমানা সুলতানা। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস (Mahua Das) মেধাতালিকা প্রকাশের সময় রুমানা সুলতানার নাম বলার সময় বেশ কয়েকবার 'মুসলিম কন্যা' শব্দটি ব্যবহার করেন। যা নিয়ে গর্জে ওঠে বিরোধী নেতৃত্ব থেকে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন।
বারবার 'মুসলিম' শব্দটির ব্যবহার নিয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপির অমিত মালব্য থেকে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। মহুয়া দাসের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন। ধর্মবৈষম্যের অভিযোগ এনে মহুয়া দাসের ইস্তফার দাবি করেন তাঁরা। মেধার পরিবর্তে ধর্মের ওপর কেন এত গুরুত্ব দেওয়া হল? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। আরও পড়ুন, 'জঙ্গিদের' গতিবিধি জানতে পেগাসাসের ব্যবহার? ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার নিয়ে রাহুলের তোপ মোদী, শাহকে
Bengal Imams' Association demands WB Council of Higher Secondary Education president Mahua Das' resignation for repeatedly mentioning the religion of state topper &calling her a minority during her press conference. The Association alleges discrimination by Das on religious basis
— ANI (@ANI) July 23, 2021
অমিত মালব্যর টুইট,"উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মেধাতালিকায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ছাত্রীর নাম বলার আগে ধর্মপরিচয় উল্লেখ করেন। একবার নয়, বারবার সেকথা উল্লেখ করেন তিনি। ছাত্রীর মেধার থেকে বড় হল ধর্ম? আর কতদিন ছাত্রছাত্রীদের এসব সহ্য করতে হবে?"
মহুয়া দাসের বিরোধিতা করে অধীর চৌধুরী টুইট লেখেন,"মুসলিম মহিলা প্রথম হয়েছে’ বলে যারা বারবার বলছে তাদের এত অবাক কেন হতে হচ্ছে!!! মুসলিম মেয়ে বলে কি কোনো অঘটন ঘটেছে!!! মেধা, বুদ্ধি, পরিশ্রম করে প্রথম হতে হয়। কাউন্সিলের প্রেসে শ্রুতিকটু শুনতে লাগে যখন বলা হয় “প্রথম হয়েছে মুসলমান মেয়ে”! ছাত্রীর নাম দেখে সে কোন্ ধর্মের বোঝানোর দায়িত্ব না নিলে খুশি হব। একজন ছাত্রী ফার্স্ট, ছেলেদের থেকে এগিয়ে চলেছে মেয়েরা-এটা লক্ষণীয়।”
মহুয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে সিপিএম নেতৃত্বও।