শুভ জন্মদিন মমতা ব্যানার্জি (File Photo)

আজ জন্মদিন (Happy Birthday) দেশের দাপুটে মহিলা নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee)। তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সুপ্রিমোর রাজনীতির যাত্রাপথ শুরু সেই কলেজ জীবন থেকে। অতীতে কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ। ছাত্র রাজনীতি থেকেই এক উজ্জ্বল মুখ। অজস্র ঘাত, প্রতিঘাত, সংঘাতের পর আজকের 'অগ্নিকন্যা' ওরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

কংগ্রেস থেকে প্রস্থানের পর সিপিএমের ৩৪ বছরের লাল দুর্গ ভেঙে বাংলায় আনেন পরিবর্তনের হাওয়া। পর পর দু'বার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন হন। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর আসন লাভের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন ৬৬ বছর বয়সী মমতা ব্যানার্জি। কংগ্রেসের মতো জাতীয় দল থেকে বেড়িয়ে নতুন দল তৈরি, পর পর দু'বার রেল মন্ত্রী, এক বার কয়লা মন্ত্রকের এবং এক বার মানবসম্পদ উন্নয়ন, যুব, ক্রীড়া, নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো থেকে বর্তমানে কেন্দ্রীয় শাসক দলের বিরোধী দলনেত্রী হিসেবে তিনি বহুল চর্চিত। আরও পড়ুন, নেতাজির জন্মশতবর্ষে সকলকে নিজের বাড়িতে শঙ্খ বাজানোর নির্দেশ; 'চোখের আলো' প্রকল্পে দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে চশমা প্রদান, ঘোষণা মমতা ব্যানার্জির

নিজের প্রচেষ্টা আর তাগিদে কালীঘাটের গলির মেয়ে বর্তমানে সকলের আদরের 'দিদি' (Didi)। রাজনীতি করতে গিয়ে একাধিকবার হামলা, হুমকি সমস্ত কিছুর অধীনে গিয়ে বারবার সাহসিকতার সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন। আহত হয়েছেন, তবুও লড়াই চালিয়ে গেছেন। আন্দোলনের জন্য পথে নেমেছেন অজস্রবার।

বাংলায় সিপিএমের বিপক্ষে শক্তিশালী বিরোধী দলের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বাংলায় সিপিএমের লাল শিবিরকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়ে ২০১১ সালে বাংলার মসনদে বসেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। নেপথ্যে লড়াইটা একেবারেই সহজ ছিল না। দীর্ঘ কয়েক বছরের প্রচেষ্টার পর সিঙ্গুর আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তাঁর হাতে আসে ব্যাপক সাফল্য। এককালের তৃণমূল কংগ্রেসের মতো ছোট দলটি হয়ে ওঠে রাজ্যের অন্যতম শাসক দল। আর দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি হন মুখ্যমন্ত্রী।

সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, তাপসি হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বলেই বাংলার মানুষ বিশ্বাস হারানো সিপিএমের পরিবর্তে এই দাপুটে মহিলাকে একবারের জন্য চেয়েছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকে একাধিক সাফল্য আসে তাঁর কাছে। ২০১২ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাঁকে বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির একজন হিসেবে অভিহিত করে। ব্লুমবার্গ মার্কেটস তাঁকে ২০১২ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাবশালী ৫০ জন ব্যক্তির তালিকায় রাখে। ২০১৮ সালে স্কচ বর্ষসেরা মুখ্যমন্ত্রী সম্মাননা লাভ করেন তিনি।

তাঁর 'কন্যাশ্রী' প্রকল্প আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুরস্কৃত হয়। এছাড়াও বিজেপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত যদি কোনও দল দৃপ্ত কণ্ঠে বিরোধিতা করে থাকে তবে তা হল তাঁর দল এবং তিনি।

বাংলার জননেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে তাঁর জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা।