বারুইপুর, ২৮ জানুয়ারি: বারুইপুর নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের মামলায় (Rape and Murder Csse) দুই আসামিকে ফাঁসির (Death Sentence) নির্দেশ দিল বারুইপুর অতিরিক্ত আদালত (Baruipur District and Sessions Fast Track Court)। ২০০৭ সালে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ ও খুন করা হয় ওই নাবালিকাকে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর দোষী প্রমাণিত হয় ২ অভিযুক্ত। মঙ্গলবার তাঁদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক। বছর পাঁচেক আগে হুগলির বলাগড়ে এক বালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত দু'জনকে সোমবার ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে চুঁচুড়া জেলা আদালত। তারপরে কাটল না ২৪ ঘণ্টাও। এবার এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দুই আসামিকে ফাঁসির সাজা শোনাল বারুইপুর আদালত।
এই সময়ের খবর অনুযায়ী, ২০০৭ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বনহুগলি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চিয়ারি মালপাড়া এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে ৩ জনের বিরুদ্ধে। পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ওই নাবালিকাকে। খুনের পর দেহ ফেলে দেওয়া হয় জলাশয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে ৩ জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নাবালক হওয়ায় তাঁর বিচার হচ্ছিল জুভেনাইল কোর্টে। বাকি দুই অভিযুক্ত সাবির আলি লস্কর ও পালান লস্করের বিচার চলছিল বারুইপুর জেলা ও দায়রা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। এদিন সেখানেই দুই আসামিকে ফাঁসির সাজা শোনালেন বিচারক। আরও পড়ুন: Sharjeel Imam Arrested: দেশদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার JNU-র প্রাক্তন ছাত্র শারজিল ইমাম
অপরদিকে সোমবার বলাগড়ের ঘটনায় আসামি গৌরব মণ্ডল ওরফে শানু ও কৌশিক মালিককে চরম সাজা শোনান চুঁচুড়া আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মানসরঞ্জন সান্যাল। অপহরণের পর চিৎকার করছিল নাবালিকা। গলা টিপে খুনের আগে এগারো বছরের মেয়েটিকে বারবার গণধর্ষণ করা হয়। তার লাশকেও রেহাই দেয়নি ওই পিশাচরা। মৃত্যুর পরও চলে গণধর্ষণ। শেষে কোদাল দিয়ে দেহ টুকরো করে বস্তায় ভরে পুঁতে দেওয়া হয় গঙ্গার চরে। মামলাটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়ে আসামিদের ফাঁসির সাজা দেন বিচারক।