ভাঙড়, ২৫ মেঃ কলকাতায় এসে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের আওগামী লিগের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনার (Anwarul Azim Anar)। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা এবং ঢাকা পুলিশ একযোগে শুরু করেছে তদন্ত। সাংসদের শরীর থেকে চামড়া ছাড়িয়ে দেহ টুকরো করে পলিথিনে ভরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় তা ফেলা হয়েছে বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। সাংসদকে খুনের জন্যে মুম্বই থেকে ভাড়া করে আনা হয়েছিল কসাই। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে জিহাদ হালওয়াদার নামে বছর চব্বিশের ওই যুবককে। সাংসদের দেহাংশের খোঁজে আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনেও ভাঙড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সিআইডি। পুকুরে ডুবুরি নামানো হয়েছে।
শুক্রবার ভাঙড়ে ধৃত জিহাদকে নিয়ে এসে সাংসদ আনওয়ারুল আজিমের দেহাংশ কোথায় কোথায় ফেলা হয়েছিল সেই সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করে গিয়েছিলেন সিআইডি আধিকারিকেরা। সেই মত শনিবার তল্লাশি শুরু করেছে গোয়েন্দা টিম। পুকুরে ডুবুরি নামিয়েও হচ্ছে দেহাংশের খোঁজ।
খোঁজ চলছে...
#WATCH | West Bengal Police CID team conducts a search operation in the Bhangar area for the second consecutive day in connection with the murder case of Bangladeshi MP Anwarul Azim Anar.
The CID team is conducting a search operation to find the remaining body parts of the MP.… pic.twitter.com/RvilB5VNq1
— ANI (@ANI) May 25, 2024
চিকিৎসার জন্যে কলকাতায় এসে নিউটাউনের এক অভিজাত আবাসনে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছিল বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনারকে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকার পর বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী সাংসদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। কলকাতা পুলিশ এবং ঢাকা পুলিশ একযোগে তদন্তে নামে। ঘটনার তদন্তে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আসে একের পর এক রোমহর্ষক তথ্য। গোটা খুনের ঘটনার পরতে পরতে লুকিয়ে রহস্য। সাংসদ আনওয়ারুল আজিম খুনে মূল চক্রী আখতারুজ্জামান, এখনও অধরা। ঢাকা পুলিশের অভিযোগ, নিজের বান্ধবী শিলাস্তি রহমানকে (Shilasti Rahman) 'হানিট্র্যাপ' হিসাবে কাজে লাগিয়ে সাংসদকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন আখতারুজ্জামান। এই কাজের জন্যে শিলাস্তিকে ৫ কোটি টাকাও দেন তিনি।