ঢাকা, ২৪ মে: বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনারের (Anwarul Azim Anar ) হত্যার ঘটনায় একের পর এক রহস্য ঘণীভূত হতে শুরু করেছে। শিলাস্তি রহমান (Shilasti Rahman) নামে এক তরুণীকে 'হানিট্র্যাপ' হিসেবে ব্যবহার করে, বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিমকে কলকাতার অভিজাত ফ্ল্যাটের অন্দরে খুন করা হয় বলে খবর। হানিট্র্যাপে শিলাস্তি রহমান নামে যে তরুণীকে ব্যবহার করা হয়, সে আসলে কে? এমন প্রশ্ন দানা বাঁধতে শুরু করে আনওয়ারুল আজিম আনারকে খুন করা হয়েছে, এই তথ্য সামনে আসার পর।
জানা যাচ্ছে, আনওয়ারুল আজিম আনার খুনের মূল চক্রী আখতারুজ্জামানের বান্ধবী হল শিলাস্তি রহমান নামে ওই তরুণী। আখতারুজ্জামান ঝিনাইদহের সাংসদকে খুনের জন্য শিলাস্তিকে কলকাতায় নিয়ে আসে। শিলাস্তিও আনওরুল আজিমের সঙ্গে কলকাতায় এসে, বিলাসবহুল ওই আবাসনে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশের গোয়ান্দা সূত্রে খবর, সাংসদ খুনের পর তাঁর মৃতদেহ কোথায় গুম করা হবে, সে বিষয়ে জিহাদ হালওয়াদারকে সাহায্য করে শিলাস্তি রহমান।
প্রসঙ্গত আনওয়ারুল আজিম আনারকে খুনের সম্পূর্ণ পরিকল্পনা এবং ছক কষে আখতারুজ্জামান কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে যায়। তবে কলকাতায় রেখে যায় শিলাস্তি রহমানকে। এই শিলাস্তি রহমানই আনওয়ারুল আজিম আনারের খুনের পরিকল্পনায় শান দেয় বলে জানতে পারে পুলিশ। নৃশংসভাবে আনওয়ারুল আজিমকে খুন করা হয়। শ্বাসরোধ করে খুনের পর আনওয়ারুল আজিমের দেহ টুকরো টুকরো করে,তাতে হলুদ মাখানো হয় বলে খবর। তবে বাংলাদেশের সাংসদের দেহাংশ কোথায় লুকনো রয়েছে, সে বিষয়ে জোর খোঁজ শুরু করেছে দুই বাংলার পুলিশ। আনওয়ারুলকে খুনের পর শিলাস্তি তড়িঘড়ি ঢাকায় ফেরে এবং আখতারুজ্জামানের বসুন্ধরার অভিজাত ফ্ল্যাটে গিয়ে আশ্রয় নেয় বলে খবর।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, শিলাস্তি রহমান চেয়েছিল মডেল হতে। তবে রুপোলি জগতে পা রাখতে গিয়ে অন্ধকার দুনিয়ায় নাম লেখায় শিলাস্তি। আখতারুজ্জামানের বান্ধবী হয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত শিলাস্তি রহমানকে। আখতারুজ্জামানের হাত ধরেই বাংলাদেশের বিভিন্ন হাই প্রোফাইল পার্টিতেও দেখা যেত শিলাস্তি রহমানকে।