Bangladesh MP Murdered: বাংলাদেশের আওগামী লিগের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনার (Anwarul Azim Anar) কলকাতায় খুনের ঘটনায় উঠে এল রহস্যময়ী এক নারীর যোগ। ইতিমধ্যেই ঢাকা পুলিশ গ্রেফতার করেছে শিলাস্তি রহমান (Shilasti Rahman) মানে ওই তরুণীকে। ঢাকা পুলিশের অনুমান, এই খুনের পরিকল্পনায় শিলাস্তিকে 'হ্যানিট্র্যাপ' হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এই কাজের জন্যে তাকে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তরুণী আসলে ঘটনার মূল চক্রী আখতারুজ্জামানের বান্ধবী। নিউটাউনের অভিজাত আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদ খুনে শিলাস্তির ভূমিকা রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ। খুনের পর সাংসদ আজিমের দেহাংশ শহরের কোথায় কোথায় ফেলা হয়েছে সেই সম্পর্কিত তথ্য ধৃত মহিলা জানেন বলেই ধারণা পুলিশের।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কলকাতার অদূরে নিউটাউনে সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনারকে খুন করে ১৫ মে বিমানে চেপে ঢাকায় ফেরেন মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান। তাঁর সঙ্গেই ফিরেছিলেন শিলাস্তি। সাংসদ খুনে তরুণীর যোগ কতটা এবং কীভাবে তা খতিয়ে দেখছে দুই বাংলার পুলিশই। ঘটনার তদন্তে নেমে আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে উঠে এসেছে খুনের একাধিক তথ্য। ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ জিহাদ হালওয়াদার নামে এক বছর চব্বিশের যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশি জেরায় ধৃত স্বীকার করেছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে সাংসদকে খুন করেছে সে। এই কাজে তাকে আরও কয়েকজন বাংলাদেশের নাগরিক সাহায্য করেছে।
সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃত জিহাদ আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা। তিনি অবৈধ পথে সীমান্ত পার করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। থাকছিল মুম্বইয়ে। তবে সাংসদ আজিমকে 'খুন' করার জন্যে দুমাস আগে পেশায় কসাই জিহাদকে কলকাতায় আনা হয়। সিআইডির তদন্তকারী অফিসারদের ধৃত জানিয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল আজিমকে। এরপর শরীর থেকে চামড়া ছাড়িয়ে হাড় এবং মাংস আলাদা করে দহ টুকরো করা হয়। একাধিক প্লাস্টিক ব্যাগে দেহাংশ ভরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মৃত সাংসদের দেহাংশের তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।