জলপাইগুড়ি, ২০ জানুয়ারি: পাথর বোঝাই ১০ চাকার ডাম্পার উল্টে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে (Jalpaiguri Accident)। এর জেরে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতেরা কনের বাড়ির লোকজন। বৌভাত উপলক্ষে তিনটি ছোট গাড়িতে চড়ে তাঁরা সবাই ধূপগুড়ির ময়নাতলি এলাকায় বিয়েবাড়িতে যাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদ এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮-এ দুর্ঘটনাটি ঘটলে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত একটা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলার পর দুটো নাগাদ ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। জানা গিয়েছে, বিয়েবাড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়া তিনটি গাড়ির চালক দেখেন রাস্তা ফাঁকা। তাই উল্টোদিক থেকে আসা গাড়ির লেন ধরেই যাওয়া শুরু হয়। সেই সময় সঠিক লেন ধরে উল্টোদিক থেকে আসছিল পাথর বোঝাই ১০চাকার একটি ডাম্পার।
কনেযাত্রীর প্রথম গাড়িটির সঙ্গে ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এর জেরে নিয়্ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্পারটি লাগোয়া ডিভাইডারে কাত হয়ে পড়ে। সেই ফাঁকে কনেযাত্রীর আর দুটো গাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করতেই ডাম্পারটি উল্টে যায় ওই গাড়িদুটির উপরেই। পাথর বোঝাই ডাম্পারের তলায় যাত্রীসমেত চাপা পড়ে কনেযাত্রীর দুই গাড়ি। ঘটনাস্থলেই ২ শিশু-সহ ১২ জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে চলে আসেন ধূপগুড়ি থানার আইসি। উদ্ধারকাজের জন্য নিয়ে আসা হয় বেশ কয়েকটি ক্রেন। দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য আরও পুলিশবাহিনী আসে। স্থানীয়দের চেষ্টায় ক্রেন দিয়ে ডাম্পার তোলার পর পাথর সরিয়ে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় রাস্তাতেই দুজন প্রাণ হারান। আহতদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি পাঁচজন ধূপগুড়ি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডাম্পারের চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও পড়ুন-Bus Strike: টানা তিন দিন বাস-মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক, ভোগান্তি পোহাতে হবে সাধারণ মানুষকে
এই প্রসঙ্গে ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায় বললেন, “দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জন মারা গিয়েছেন। গোটা বিষয়টি আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অনেকের পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের তরফে জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মৃতেরা ময়নাগুড়ির চূড়াভান্ডার, রানিরহাট মোড় এবং মালবাজারের ডামডিম এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।”