
পানাগড়কাণ্ডের (Panagarh Accident Case) চারদিনের মাথায় আসানসোল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদবকে। শুক্রবারই তাঁকে দুর্গাপুর আদালতে পেশ করা হয়। এদিন সকাল থেকেই আদালত চত্বরে জনসাধারণের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তার মাঝেই নিয়ে আসা হয় বাবলুকে। স্বাভাবিকভাবেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন ধৃত যুবক। সেখানেই তিনি বলেন, ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম। এরপরেই পুলিশ তাঁকে তড়িঘড়ি আদালতের মধ্যে ঢুকিয়ে নেন। যদিও এখনও এই ঘটনায় বাকি অভিযুক্তরা অধরা রয়েছে। তাঁদের খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান।
ইভনিজিংয়ের অভিযোগ খারিজ করে দেয় পুলিশ
জানা যাচ্ছে, ঘটনার দিন সাদা রঙের ক্রেটা গাড়িটি বাবলুই চালাচ্ছিলেন। এবং গাড়িটি রয়েছেই তাঁরই নামে। যদিও সেদিন গাড়ি চালানোর সময় তিনি মদ্যপ ছিলেন কিনা সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে বছর ২৭-এর সুতন্দ্রার পরিবারের অভিযোগ ছিল, বাবলুরা সুতন্দ্রাকে ইভটিজিং করছিলেন। আর সেখান থেকে পালানোর জন্যই গাড়ি দ্রুত গতিতে চালিয়েছিল তাঁদের মেয়ে। সেই কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যদিও ঘটনার ১৬ ঘন্টা পর পুলিশ এই দাবি খারিজ করে দেয়।
গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সুতন্দ্রার
গত রবিবার গভীর রাতে কাজ সেরে সহকর্মীদের নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার তথা নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। সেই সময়ই বাবলুদের গাড়ির সঙ্গে রেষারেষি হওয়ার কারণে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় বছর ২৭-এর চন্দননগরের ওই তরুণীর গাড়ি। গুরুতর জখম অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসকরা সুতন্দ্রাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে অবশ্য তাঁর এক সহকর্মীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে এই ঘটনা নিয়ে সুতন্দ্রার চার সহকর্মী যাঁরা ওইদিন গাড়ির মধ্যে ছিলেন তাঁদেরকে জেরা করেন কাঁকসা থানার পুলিশ।