প্রতীকী ছবি(Photo Credit: PTI)

নৈহাটি, ২ জানুয়ারি: গত লোকসভা নির্বাচনের আগেভাগে তৃণমূল (TMC) ছেড়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে নৈহাটি ভাটপাড়া-সহ বারাকপুর লোকসভাকেন্দ্রে শাসকদলের ঘাঁটিকে দুর্বল করে দিয়েছিল অর্জুন সিং। লোকসভা ভোটে ওই কেন্দ্রে হেরে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর থেকে ভাটপাড়া কাঁকিনাড়া ও নৈহাটিতে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। অপরাধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছিল গোটা এলাকা। ভাটপাড়া থানা তৈরি করে পরিস্থিতির সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পুজোর পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। উপনির্বাচনে যখন বিজেপি শূন্য হাতে ফিরল তখন অর্জুনের গড়ের সেই দাপট উধাও। আর বছর শুরুতে ভাটপাড়া পুরসভা (Bhatpara Municipality) ফের তৃণমূলের দখলে আসতেই গেরুয়াশিবির চোখে অন্ধকার দিচ্ছে।

কয়েকদিন আগেই নৈহাটি উৎসবে এসে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করেই বলেছিলেন শুধু ভাঙতে পারে গড়তে জানে না। ঠিক তার পরেপরেই ভাটপাড়া পুরসভা ফের তৃণমূলের দখলে চলে এল। বছরের একেবারে শুরুতে নিজের গড়ে এতবড় ধাক্কা খেয়ে বেশ বিপাকে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর কথায়, বেআইনিভাবে আস্থা ভোটে জিতে পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল। এনিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “আগামী ২০ জানুয়ারি চেয়ারম্যান সৌরভ সিং আস্থা ভোটের জন্য বৈঠক ডেকেছেন। তার আগে এই ধরনের বৈঠক পুর আইন অনুযায়ী বেআইনি।” এমনিতে লোকসভা ভোটের পরে ভাটপাড়া পুরসভা দখলে নিতে বিশেষ পরিশ্রম করতে হয়নি বিজেপিকে। অর্জুন সিং-এর দাপটে জোড়াফুল বদলে রাতারাতি পদ্মফুল হয়ে গিয়েছিল। লোকসভা ভোটে দাঁড়ানোর সময়ে নিজে চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে সেই চেয়ারে বসিয়ে এসেছিলেন ভাইপো সৌরভ সিংকে। কিন্তু হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, গারুলিয়া, বনগাঁর মতো অর্জুন-দুর্গের ভাটপাড়া পুরসভাও হাতে রাখতে পারল না বিজেপি। আরও পড়ুন-Kolkata: বর্ষবরণের রাতে পার্টি চলাকালীন ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু যুবতীর

বৃহস্পতিবার ভাটপাড়া পুরসভার আস্থা ভোটে বিজেপির কোনও কাউন্সিলর যাননি। অন্যদিকে বোর্ড দখলের ম্যাজিক ফিগারের থেকে বেশি সংখ্যক তৃণমূল কাউন্সিলর এক্সিকিউটিভ অফিসারের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হন। ১৯-০ ব্যবধানে জিতে যায় ঘাসফুল শিবির