যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Photo Credits: Wikimedia)

কলকাতা, ২ নভেম্বর: বিতর্ক (Debate) যেন পিছু ছাড়ছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (Jadavpur University)। কখনও রাজনৈতিক মতবিরোধ তো কখনও শিক্ষাঙ্গন পরিণত হওয়া যুদ্ধাঙ্গনে। একটার পর একটা বিতর্ক যেন লেগেই রয়েছে। এবার আরও এক বিতর্কে নাম জড়াল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। সরাসরি অভিযোগ উঠল উত্তরপত্র ফাঁসের (Answer Sheet Leak)! বিশ্ববিদ্যালয়ের গণজ্ঞাপন বিভাগের (Mass Communication Department) সদ্য পাস করে বেরনো ছাত্র জয়দীপ দাস (Joydeep Das) অভিযোগ তুললেন তাঁর পরীক্ষার খাতা ফাঁস হয়েছে। জয়দীপের অভিযোগ তাঁদের বিভাগের প্রাক্তন গবেষক অভ্র সেন (Avra Sen) গত বছর তাঁর পরীক্ষার খাতার নম্বর কমিয়েছেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। হাতেনাতে প্রমাণ দিয়ে ওই শিক্ষকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও (WhatsApp Chat) নিজের ফেসবুকে (Facebook) গতকাল শুক্রবারই শেয়ার করেন জয়দীপ। ঘটনার একদিন পর আজ শনিবার এই ঘটনা প্রসঙ্গে লেটেস্টলি বাংলাকে (LatestLY Bangla) তিনি জানান, "রাজনৈতিক রোষ থেকেই পরীক্ষার খাতায় নম্বর কমিয়েছিল অভ্র সেন। সন্দেহ ছিলই। এতদিন পর তা প্রকাশ্যে এল। শুধু আমার নয়, এর আগে বহু ছাত্রের সঙ্গেই এমনটা হয়েছে। আমি কাল রাতেই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।"

জয়দীপ জানান, অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও। অভিযোগ জানিয়েছে আফসু (AFSU) সংগঠনও। জয়দীপের আরও বক্তব্য- আমি এসএফআই (SFI) করি। আর উনি অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। তাই প্রথম থেকেই একটা বিরোধিতার জায়গা ছিলই। উনি আমাদের পরীক্ষার খাতা দেখতেন। তাই সাধারণভাবেই সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিহিংসা প্রতিফলিত করতে চেয়েছেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত ওই গবেষক (Researcher) অভ্র সেনের পাল্টা দাবি, হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়ো প্রোফাইল (Fake Profile) বানিয়ে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে তিনি পুলিসের (Police) দ্বারস্থ হবেন। তিনিও গতকালই নিজের ফেসবুকে এই ঘটনার বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, এই অভ্র সেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mallik) জামাই (Son-In-Law)। নিজেও তিনমাস আগে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে (BJP)। আরও পড়ুন: Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশে অভিযোগ দায়ের বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের

অভ্র সেন এবং জয়দীপ দাসের শেয়ার করা ফেসবুক পোস্ট (Photo Credits: Facebook)

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টির তদন্ত করা হবে। যতদিন তদন্ত চলবে, ততদিন অভ্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে (University) ঢোকা যাবে না। গত শুক্রবারই একদল বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের (Chiranjib Bhattacharya) কাছে বিষয়টি তুলে ধরে অভিযোগ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন বিভাগীয় ওই গবেষক ক্লাস নেন, এমনকী পরীক্ষার খাতাও দেখেন। তাঁদের কাছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট এসেছে। যেখানে অভ্র এক ছাত্রের পরীক্ষার খাতা শেয়ার করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁকে লিখতে দেখা যাচ্ছে - ওই ছাত্র আন্দোলন করেছেন বলে তাঁর নম্বর তিনি 'চেপে' দেবেন!