নবদ্বীপ, ২ এপ্রিল: কোয়ারান্টাইন কাকে বলে তা এই বৃদ্ধ দেখিয়ে দিলেন। করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে কোয়ারান্টাইন (Quarantine) হল সবচেয়ে আদর্শ। তাতে রোগ অন্য কাউকে সংক্রমিত করে না। রাজ্যে যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তাদের হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সংস্পর্শে আসা মানুষদের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু জানেন কী এ রাজ্যেই নৌকায় কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন এক বৃদ্ধ! অদ্ভুত শুনতে লাগলেও এটাই সত্যি। স্নান-খাওয়া থেকে শুরু করে রাত্রিযাপন, সবই চলছে টাঙন নদীর তীরে থাকা নৌকায়।
নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপ (Nabadwip) থানার পাবনাপুরের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের নাম নিরাঞ্জন হালদার। চার দিন আগে মালদার (Malda)হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডীতে ভাগ্নির বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন তিনি। ভিন জেলা থেকে আসায় গ্রামবাসীদের দাবি মতো স্বাস্থ্যপরীক্ষা করান নিরাঞ্জন। স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু আত্মীয়ের বাড়িতে বাড়তি ঘর না থাকায় নৌকায় থাকতে শুরু করেন তিনি। বুলবুলচণ্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুবাপাড়া গ্রামে শ্মশানের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে টাঙন নদী। শুখা মরসুম হওয়ায় স্রোত কমেছে টাঙনের। কচুরিপানায় ঢেকেছে নদী। সেখানে ঘাটে বাঁধা নৌকাই এখন ঘরবাড়ি নিরাঞ্জনের। সেখানেই চলছে খাওয়া থেকে শোয়া। খাবার অবশ্য আসছে আত্মীয়ের বাড়ি থেকেই। আরও পড়ুন: Shenzhen City To Ban Eating Of Cats And Dogs: চিনের শেনজেন শহরে কুকুর-বেড়ালের মাংস নিষিদ্ধ
পেশায় কীর্তনশিল্পী নিরাঞ্জনবাবু বলেন, "হাবিবপুরের এক আত্মীয়ের জায়গায় যাওয়ার পরে আমার জ্বর হয়েছিল। এখানকার গ্রামবাসীরা আমাকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেয়নি। ডাক্তার আমাকে ১৪ দিন আলাদা থাকতে বলেন। সেই থেকেই আমি নৌকায় আশ্রয় নিয়েছি। ভাগ্নির বাড়িতে থাকার জায়গা নেই। আমি সেখানে থাকলে ছেলেমেয়েকে নিয়ে ওদের বাইরে থাকতে হবে। তাই নৌকায় বসবাস শুরু করেছি।"