Akhil Giri, Mamata Banerjee (Photo Credits: X, Facebook)

মহিলা ফরেস্ট অফিসারকে 'কুকথা' বলার অভিযোগে দলের তরফে বিধায়ক তথা কারামন্ত্রী অখিল গিরির (Akhil Giri) কাছে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়া নির্দেশ আসে। সেই সঙ্গে মহিলা বনাধিকারিকের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয় মন্ত্রীকে। তৃণমূলের নির্দেশ মেনে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন বলে রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন অখিল। তবে সরকারি আধিকারিকের কাছে ক্ষমা কিছুতেই চাইবেন না, সে কথাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। বললেন, গোটা রাজনৈতিক জীবনে কোন সরকারি আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাননি তিনি। অখিল প্রসঙ্গে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।

রবিবার সকালে রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির (Akhil Giri) কাছে ফোন আসে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর। সভাপতি জানান, দলের সিদ্ধান্ত যে মহিলা বনাধিকারিককে তিনি কুকথা বলে অপমান করেছেন তাঁর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। এমন এও বলা হয়, নিজে থেকে পদত্যাগ না করলে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্ত করা হবে।

আরও পড়ুনঃ মহিলা বনাধিকারিককে 'বেয়াদপ’, ‘জানোয়ার’ বলে মন্তব্য, ফের বিতর্কে কারামন্ত্রী অখিল গিরি

এরপরেই দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিধায়ক অখিল গিরি। মহিলা ফরেস্ট অফিসারকে 'কুকথা' বলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষমা না চাওয়ার দাবিতে অনড় তিনি। বলেন, মন্ত্রী হিসাবে যা বলেছেণ তাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তাই করবেন। কিন্তু চাইবেন না। অখিল এও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইমেল মারফত ইতিমধ্যেই তাঁর মন্ত্রিত্ব পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। আগামীকাল সোমবার বিধানসভায় আসবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে নিজের ইস্তফা পত্র মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ধরাবেন।

ঘটনার সূত্রপাত, পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুর এলাকায়। সেখানে কাঁথি রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার মনীষা সাউকে উদ্দেশ্যে করে ‘বেয়াদপ’, ‘জানোয়ার’ এই জাতীয় শব্দ প্রয়োগ করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল বিধায়ককে। তাজপুরের সমুদ্র সৈকতে 'বেআইনি দখলদার' উচ্ছেদ করতে গিয়ে মহিলা বনাধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়ান কারামন্ত্রী। এরপরেই তৃণমূল বিধায়কের নিন্দায় সরব হয় বিরোধী দল।