TMC Minister Akhil Giri (Photo Credits: X)

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি (Akhil Giri)। এবার রাজ্যের এক মহিলা বনাধিকারিককে 'হুমকি' দিয়ে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠলেন অখিল। শুরু তাই নয় সরকারি আধিকারিকের উদ্দেশ্যে ‘বেয়াদপ’, ‘জানোয়ার’-এর মত অপ্রীতিকর শব্দ প্রয়োগ করতে দেখা গেল বিধায়ক তথা কারামন্ত্রীকে। ভরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে মহিলা ফরেস্ট অফিসারের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। তৃণমূলের নিন্দায় আসরে নেমেছে বিজেপিও।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে 'বেআইনি দখলদার' উচ্ছেদ করতে পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে গিয়েছিলেন কাঁথি রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার মনীষা সাউ। অভিযোগ ছিল, বনদফতরের জায়গা দখল করে সমুদ্র সৈকতে বেআইনি দোকান ঘর তৈরি করে ব্যবসা করছিল স্থানীয়রা। শুক্রবার রাতে সেই সমস্ত দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বনদফতরের কর্মীরা। শনিবার সকাল থেকেই এলাকায় জড়ো হয় রুষ্ট ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সমর্থনে সেখানে পৌঁছন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। রাতের অন্ধকারে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দোকান ভেঙে দেওয়ায় বনাধিকারিক মনীষা সাউয়ের উপর চোটপাট শুরু করেন বিধায়ক। কার্যত হুমকির সুরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'ম্যাডাম আপনি সবাইকে নিয়ে চলুন। বেশিদিন থাকতে পারবেন না। আপনার আয়ু ৭-৮ দিন, ১০ দিন। ফরেস্টের কী কাজ হয় আমি জানি। কত বড় দুর্নীতি আমরা সব জানি। বিট অফিসারের বিরুদ্ধে কী আছে আমরা সব জানি। বিধানসভায় সব ফাঁস করে দেব'।

দেখুন...

বনাধিকারিকের সঙ্গে মন্ত্রীর বচসা ক্রমশ আরও উত্তপ্ত হতে থাকে। অখিলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্থানীয়রাও মনীষার উপর সুর চড়াতে থাকেন। মহিলা ফরেস্ট অফিসারের দিকে আঙুল তুলে বিধায়ক বলেন, 'সরকারি কর্মচারী মাথা নীচু করে কথা বলবেন। এরকম 'বেয়াদপ’, ‘জানোয়ার’ রেঞ্জার আগে কখনও আসেনি'। শাসক দলের বিধায়ক তথা মন্ত্রীর এহেন আচরণে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।