কলকাতা, ১৪ মার্চ: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে রাজ্যে চলছে জোর কদমে প্রচার। শাসকদল তৃণমূল প্রধান বিরোধী দল বিজেপি, প্রচারের ক্ষেত্রে কোনওরকম ত্রুটি রাখতে নারাজ। জনসভা উপলক্ষে রবিবার রাজ্যে এসেচেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবারই খড়গপুরের প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে সোমবার সকাল ১১টায় ঝাড়গ্রামে প্রথম সভা করবেন অমিত। তারপর সেখান থেকে সোজা চলে যাবেন বাঁকুড়ায়। এবার ১৮টি নয়, একেবারে ২০০-র বেশি আসন দখলে আনতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি শিবির। বিজেপি যখন সোনার বাংলা গড়তে উঠেপড়ে লেগেছে, তখন তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতা ধরে রাখতে মরণপণ লড়াইয়ে শামিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তথা তৃণমূলের কাছে সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রথম দফায় জঙ্গলমহলের ৩০টি আসনে ভোট হবে। তার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ৭টি, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬টি, বাঁকুড়ার ৪টি, পুরুলিয়ার ৯টি এবং ঝাড়গ্রামের ৪টি আসনে। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে পুরুলিয়া জেলার ৯টি আসনেই পিছিয়ে তৃণমূল। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কম যান না, তাইতো রবিবার বিকেলেই তিনি দুর্গাপুরে চলে এসেছেন। আজ তাঁর জঙ্গলমহল প্রচারে যাওয়ার কথা। আরও পড়ুন-West Bengal Assembly Elections 2021: প্রার্থিত বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের টিকিট হাতছাড়া, যুগলে বিজেপি ত্যাগ শোভন-বৈশাখীর
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যে যে আসনে জয়লাভ করেছিল, সেসব জায়গায় পুরোনো জমি ফেরত পেতে মরিয়া তৃণমূল একেবারে কোমর বেঁধে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছে। তাই হুইল চেয়ারেই নেমে পড়েছেন প্রচারে। আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি বিধানসভার ঝালদার হাটতলায় একটি সভা রয়েছে তাঁর। তার পর তৃণমূলনেত্রী যাবেন বলরামপুরে। সেখানে রথতলায় বিকেল ৩টের সময় সভা করবেন তিনি। এখনও পায়ের চোট সারেনি তৃণমূল নেত্রীর। চোট পাওয়ার পর তিনি জানিয়েছিলেন, কোনও কর্মসূচি বাতিল করতে চান না। প্রয়োজনে হুইল চেয়ারে বসেই জনসভায় যাবেন। রবিবার ন্দীগর্মা দিবস উপলক্ষে মেয়ো রোড হাজরা রোড শোয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুইল চেয়ার থেকেই সমর্থকদের উদ্দেসে তিনি বলেন, “আমার উপর ভরসা রাখুন। হুইল চেয়ারে বসেই ভাঙা পায়ে ঘুরব।”